s२ সীতা । । विणन्न शहेष्व भांज। भशंद्रांछ ७डब्रिभिख श्रेतून ८लाकांकूण रुहेबांटाइन কেন ? পিতৃদেব নিজমুখে আমাকে এই আদেশ প্রদান করিলে চরিতার্থ হইতাম। যাহা হউক, আমি আপনারই আদেশ শিরোধাৰ্য্য করিয়া এতদণ্ডেই অরণ্যযাত্রা করিতেছি।” এই বলিয়া রামচন্দ্র বৃদ্ধ নরপতির পাদবনান ও কৈকেয়ীর নিকট প্রসন্নচিত্তে বিদায় গ্রহণ পূৰ্ব্বক কৌশল্যার অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন। প্রথম হইতেই লক্ষ্মণ র্তাহার সঙ্গে ছিলেন ; তিনি রামের বনবাসের কথা শুনিয়া ক্রোধে হুতাশনের ন্তায় প্রজলিত হইতে লাগিলেন। রাম বিদায় গ্রহণ করিলে বৃদ্ধ নরপতির শোকসমুদ্র পুনৰ্ব্বার উদ্বেল হইয়া উঠিল। তিনি “হ রাম, হা রাম” বলিয়া বিলাপ করিতে করিতে মুচ্ছৰ্গপন্ন হইলেন। বৃদ্ধ রাজা বিলাপ করিতে থাকুন, ইত্যবসরে আমরা একবার একটা গুরুতর বিষয় বুঝিয়। দেখিতে চেষ্টা করি। দশরথ কৈকেয়ীর প্রতি প্রসন্ন হইয়া কোন সময়ে দুইটি বর দিতে অঙ্গীকার করিয়াছিলেন । দুর্ভাগ্যক্রমে পরে সেই অঙ্গীকারই দশরথের কালস্বরূপ হইয়া উঠিল। সত্যপাশে বদ্ধ হইয় রাজা প্রাণীপেক্ষাও প্রিয়তর পুত্রকে বনবাস দিতে বাধ্য হইলেন ! কৈকেয়ী দশরথের বশবৰ্ত্তিনী স্ত্রী মাত্র ; চেষ্টা করিলে কি তিনি মহিষীর এই অন্যায় প্রার্থনা অগ্রাহ করিতে পারিতেন না এবং এরূপ প্রার্থনায় অসম্মত হইয় একবার তাহার অসত্যপরায়ণ হওয়াও কি বরং ভাল ছিল না ? স্ত্রীর নিকট একবার মিথ্যাবাদী বলিয়। পরিচিত হইলেই কি বিশেষ দোষ হইত ? রামায়ণ পড়িতে পড়িতে কোন কোন পাঠকের মনে হয়ত এবম্বিধ নানাপ্রশ্ন উপস্থিত হইতে পারে এবং দশরথের প্রতি বিজাতীয় ঘৃণা ও ক্রোধও সমুৎপন্ন হইতে পারে। কিন্তু যখন মনে করা যায় যে, দশরথ একজন তেজস্ব ও সত্যব্রত রাজা ছিলেন, এবং একমাত্র
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।