চতুর্থ অধ্যায়। , 8% সত্যপালনের নিমিত্তই তিনি প্রিয়তম পুত্র ও এমন কি তাহার প্রাণ পৰ্য্যন্ত বিসর্জন করিতে দ্বিধা করেন নাই, তখনই আমরা তাহার প্রকৃত মাহাত্ম্য হৃদয়ঙ্গম করিতে সক্ষম হই, তখনই খুঝিতে পারি দশরথ যথার্থই ধৰ্ম্মানুরাগী ছিলেন। যাহারা ধাৰ্ম্মিক ও চরিত্রবান, তাহারা কি গৃহে কি বহির্ভাগে সৰ্ব্বত্রই সত্যের মর্য্যাদা রক্ষা করেন। জগৎ যদি চূর্ণ হইয়া যায়, তাহ হইলেও তাহারা সত্য ও ন্যায়ের রাজ্যকে জয়যুক্ত कब्रिटङ cफट्टे कtद्रम । ठांव्र ढी झहेtठाझे कि डिनि चांगैौग्न क्रप्क নিকৃষ্ট ও হেয় হইয়া থাকেন ? তাহার নিকট যে প্রতিজ্ঞ করা যায় তাহা কি রক্ষণীয় নহে? ইহা ব্যতীত আমাদের আরও স্মরণ রাখা কর্তব্য যে, পুরাকালে নারীজাতি পুরুষগণকর্তৃক সমুচিত সৎকৃত ও সম্মানিত হইতেন। “দেবি” “আর্য্যে” প্রভৃতি সম্বোধনস্থচক শব্দপ্রয়োগই তাহার যথেষ্ট প্রমাণ। এস্থলে আমরা পিতৃবৎসল রামচন্দ্রেরও অসাধারণ পিতৃভক্তির কথা উল্লেখ না করিয়া থাকিতে পারিতেছি না। পিতৃভক্তির এরূপ দৃষ্টান্ত জগতে বিরল এবং অদ্বিতীয়ও বটে। যিনি এক পিতৃসত্যপালনের নিমিত্ত অমানবদনে করতলগত সমস্ত রাজ্যের ঐশ্বৰ্য্য পরিত্যাগ করিয়া বনবাসরূপ কঠোর ব্ৰত আলিজন করিতে পারেন, তিনি যে সাধারণের হৃদয়রাজ্য অধিকার করিয়া অদ্যাপি জগতে পূজিত হইবেন তাহার আর আশ্চৰ্য্য কি ? রাম কৌশল্যার প্রকোষ্ঠে উপস্থিত হইয় দেখিলেন জননী তাহার মঙ্গলকামনায় দেবপূজায় নিযুক্ত আছেন। রাম জননীর চরণে প্রণত হইলে, তিনি প্রিয়তম পুত্রকে স্নেহালিঙ্গন পূৰ্ব্বক তাহার মস্তক আম্ৰাণ করিলেন এবং আজ রাম রাজা হইবেন এই কথা ভাবিয়া আনন্দাশ্র বিসর্জন করিতে লাগিলেন। রাম জননীর মনোভাব বুঝিতে পারিয়া বলিলেন “মা, আজ তোমার আনন্দের কোন কারণ নাই ; তোমার, সীতার ও লক্ষ্মণের বড় বিপদ উপস্থিত হইয়াছে।
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।