ss : সীতা । পিতৃদেব জননী কৈকেয়ীর প্রার্থনার ভরতকে রাজ্যভার প্রদান করিয়া আমাকে চতুর্দশবর্ষ বনবাস আদেশ করিয়াছেন।” এই বাক্য শ্রবণমাত্র কৌশল্যা ছিন্নমূল লতার স্তায় সহসা ভূমিতলে পতিত হইলেন। রাম লক্ষ্মণের সাহায্যে বহুকষ্টে তাহার চৈতন্তসম্পাদন कब्रिह्णन । ८कोलणा ८शादक बिग्रमांन श्हेब्रा बहउब्र दिशांशं ७ निख অদৃষ্ট্রের নিন্দ করিতে লাগিলেন। মুহূৰ্ত্তমধ্যে রামনিৰ্ব্বাসনসংবাদ অন্তঃপুরমধ্যে প্রচারিত হইয়া গেল, এবং চতুর্দিক হইতে এক হাহাকার শব্দ ব্যতীত আর কিছুই শ্রতিগোচর হইল না। লক্ষ্মণ কুদ্ধ হইয়া রাম ও কৌশল্যার সমক্ষেই বৃদ্ধনরপতির সমুচিত নিন৷ করিতে লাগিলেন। মহারাজের বুদ্ধিভ্রংশ ঘটিয়াছে, স্ত্রীপরায়ণ রাজার আদেশপালনের আবশুকতা নাই। লক্ষ্মণ তদণ্ডেই ধনুর্ধারণ পূৰ্ব্বক দশরথ, কৈকেয়ী ও ভরতপ্রভৃতি বিপক্ষগণকে বিনাশ করিবেন। লক্ষ্মণ সহায় থাকিলে রামের বিরুদ্ধে কে অগ্রসর হইতে সক্ষম হইবে ? সুধীর রাম লক্ষ্মণের বাক্যে অসন্তুষ্ট হইয় তাহাকে মৃদুমধুর তিরস্কার করিলেন। পিতাই সাক্ষাৎ ধৰ্ম্ম ; পিতা আকাশ হইতেও মহত্তর ; পিতার অপেক্ষ গুরুতর ব্যক্তি এজগতে আর কে আছে ? পিত্রাদেশ ও পিতৃসত্যপালন দ্বারা তাহার ধৰ্ম্মরক্ষা করিতে না পারিলে রামের জীবনধারণে প্রয়োজন কি ? ভরত সুশীল ও ভ্রাতৃবৎসল ; ভরত রামলক্ষ্মণের কি অপকার করিয়াছেন ? দেবী কৈকেয়ী জননী ; গুহার নিনা করিতে নাই। লক্ষ্মণ রামের তিরস্কারবাক্যে লজ্জিত হইলেন । রামের স্থিরপ্রতিজ্ঞাদর্শনে কৌশল্য বিলাপ করিতে লাগিলেন। কৌশল্য রামকে না দেখিয়া ক্ষণকালও জীবিত থাকিবেন না; রাম যদি একান্তই বনগমন করেন তবে তিনিও তাহার সহিত অরণ্যযাত্রা করিবেন। রাম জননীকে মানাপ্রকারে আশ্বস্ত ক্ষরিত লাগিলেন, বলিলেন স্বামী বর্তমানে স্ত্রীকে স্বামিপরিত্যাগ
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।