, পঞ্চম অধ্যায়। “ মধ্যে তৃণগুiমল ভূমিশয্যায় শয়ন করিয়া থাকিব, পৰ্য্যঙ্কের চিত্রকম্বল কি তদপেক্ষ অধিকতর মুখের হইবে ? ফলমূল পত্র অল্প বা অধিকই । হউক, তুমি স্বয়ং যাহা আহরণ করিয়া দিবে, আমি অমৃতের ন্যায় তাহা মধুর বিবেচনা করিব, এবং বসন্তাদি ঋতুর ফলপুষ্প ভোগ করিয়া । মুণী হইব ।” ( ২৩০ ) যুবতীগণ পিতৃগৃহে যাইবার নিমিত্ত মধ্যে মধ্যে স্বামী ও অক্সান্ত গুরুজনকে বড়ই উত্যক্ত করেন। রাম সীতাকে বনবাসে লইয়া গেলে সীতা পিতামাতা অথবা গৃহের জন্য উদ্বিগ্ন হইতে পারেন এই আশঙ্কার পাছে রাম তাহাকে সঙ্গে লইতে আপত্তি করেন, তাই জানকী বলিতেছেন “পিতামাতার নিমিত্ত উদ্বিগ্ন হইব না, গৃহের কথাও মনে আনিব না। এই সমস্ত ত্যাগ করিয়া দুরাস্তরে থাকিব বলিয়া তোমায় কিছুমাত্র দুঃখ দিব না। এই কারণেই কহিতেছি তুমি আমাকে সঙ্গে লইয়া চল । তোমার সহবাস স্বর্গ, বিচ্ছেদই নরক এইটি তোমার হৃদয়ঙ্গম হউক। অধিক কি, আমি বনবাসে কিছুই দোষ দেখিতেছি না ; যদি তুমি আমায় না লইয়া যাও, আমি বিষপান করিব, কোন মতেই বিপক্ষ ভরতের বশবর্ধিনী হইরা থাকিব না। চতুর্দশ বৎসরের কথা দূরে থাকুক, আমি মুহূর্তের নিমিত্তও তোমার শোক সম্বরণ করিতে পারিব না।” (২।৩০ ) o জানকী এই বলিয়া প্রিযুতমকে আলিঙ্গন করিয়া মুক্তকণ্ঠে রোদন । করিতে লাগিলেন। সীতার মুখমণ্ডল অশ্রুজলে প্লাবিত হইয়৷ বিবর্ণ হইল। রামচন্দ্র প্রিয়তমাকে এইরূপ বিলাপ করিতে দেখিয়া তাহার কণ্ঠলিঙ্গন পূর্বক আশ্বাস প্রদান করিলেন এবং কহিলেন দেবি, । তোমায় যন্ত্রণ দিয়া আমি স্বৰ্গও প্রার্থনা করি না। আমার কুত্রাপি ভয়সম্ভাবনা নাই । তোমার প্রকৃত অভিপ্রায় কি জামি তাহা জানিতাম না, তোমাকে রক্ষা করিতে আমার সামর্থ্য থাকিলেও কেবল
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।