ষষ্ঠ অধ্যায়। అs গুহ নামে এক নিষাদরাজ ঐস্থলে বাস করিতেন। তিনি রামের বাল্য সখী ছিলেন। সুহৃদ্ধর রামচন্দ্র তাহার রাজ্যে আগমন করিয়াছেন ইহা শ্রবণমাত্র গুহ বৃদ্ধ অমাত্য ও জ্ঞাতিগণে পরিবৃত হইয়াস্থস্বাছ ফলমূল ও অর্ঘ্যসহকারে রামের নিকট সমাগত হইলেন। বন্ধুদ্বয় প্রীতিভরে পরস্পরকে আলিঙ্গন করিয়া পরস্পরের কুশল জিজ্ঞাসা করিলেন। গুহ কর্তৃক সৎকৃত হইয়া রাম পরম আননা লাভ করিলেন, এবং তাপসত্ৰতপালনের অনুরোধে অশ্বের ভক্ষ্য ভিন্ন অন্ত কোন দ্রব্যই গ্রহণ করিলেন না । অনন্তর রামচন্দ্র সন্ধ্যাবন্দন সমাপন করিলে, লক্ষ্মণ তাহার নিমিত্ত সুশীতল পানীয় জল আনয়ন করিলেন। রাম জলপান করিয়া সীতার সহিত ভূমিশয্যায় শয়ন : করিলেন ; লক্ষ্মণও তাঁহাদের পাদপ্রক্ষালন পূর্বক তরুমূলে আশ্রয় । লইলেন। - লক্ষ্মণ রামের রক্ষণাবেক্ষণের নিমিত্ত অকৃত্রিম অনুরাগে রাত্ৰিজাগরণ করিতেছেন, ইহা দৰ্শন করিয়া নিষাদরাজ তাহার ভ্রাতৃভক্তির যথেষ্ট প্রশংসা করিলেন। গুহ মহামতি লক্ষ্মণকে । শয়ন করিয়া ক্ষণকাল বিশ্রামলাভ করিতে অনেক অনুরোধ . করিলেন, কিন্তু তিনি তাহার প্রস্তাবে কিছুতেই সন্মত হইলেন না। লক্ষ্মণ সস্তপ্তমনে কহিতে লাগিলেন “দেখ, এই রঘুকুল । তিলক রাম জানকীর সহিত ভূমিশয্যায় শয়ন করিয়া আছেন, আমার আর আহার নিদ্রায় প্রয়োজন কি ?” এই বলিয়া লক্ষ্মণ একমাত্র রামের অভাবে পিতামাত আত্মীয় বন্ধু এবং অযোধ্যাবালিগণের যে কিরূপ শোচনীয় দশ উপস্থিত হইয়াছে, শোকাকুলমনে তাঁহাই, কীৰ্ত্তন করিতে লাগিলেন। এইরূপ বিলাপ ও পরিতাপ করিতে করিতে রজনী প্রভাত হইয়া গেল। রাম জাগরিত হইয়া গঙ্গা সমুত্তীর্ণ হইবার উপায় চিন্তা করিতেছিলেন ইত্যবসরে নিষাদরাজ কর্ণ ও
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।