ষষ্ঠ অধ্যায় । । - }\రి ংসাধন করিতে হইবে, সুতরাং এইরূপে পরস্পর পরস্পরকে রক্ষা করা অবিস্তক হইতেছে। যে স্থানে জনমামুষের সঞ্চার নাই, ক্ষেত্র ও উদ্যান দৃষ্টিগোচর হয় না, এবং গর্ভ ও নিয়োন্নত ভূমিই অধিক, জানকী আজ সেই বনে প্রবেশ করিবেন, এবং বনবাসের যে কি দুঃখ আজই তাহা জানিতে পারিবেন।” (২।৫২ ) - স্বামীর এইরূপ আশঙ্কা ও সতর্কত। দেখিয়া অরণ্যবাস যে কিরূপ ভয়ঙ্কর ব্যাপার জানকী অবশুই তাহার কিঞ্চিৎ আভাস পাইয়াছিলেন। কিন্তু প্রথমতঃ ও প্রধানতঃ স্বামীর প্রতি অকৃত্রিম প্রেম ও অনুরাগ, দ্বিতীয়তঃ স্বামীর বলবীৰ্য্যে অটল বিশ্বাস, এবং তৃতীয়তঃ প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্যদর্শনে আপনার অতৃপ্ত লালসা এই ত্ৰিবিধ কারণে সীতার মনে বনবাসসম্ভাবিত কোন ত্রাসই উৎপন্ন হইল না। আমরা অনতিবিলম্বেই দেখিতে পাইব সীতাদেবী গভীর অরণ্যকেও কেমন । স্বায়ত্তাধীন গৃহাঙ্গন বা পুষ্পোদ্যানে পরিণত করিয়াছিলেন। উল্লিখিত ত্ৰিবিধ কারণ একাধারে বর্তমান না থাকিলে সীতার স্থায় তেজস্বিনী নারীর পক্ষেও অরণ্যবাস একপ্রকার অসম্ভব হইত। - যতক্ষণ রাম লক্ষ্মণ ও সীতা দৃষ্টিগোচর হইতেছিলেন, ততক্ষণ স্বমন্ত্র নির্নিমেষলোচনে তাহাদিগকে নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। তাছারা : দৃষ্টিপথের বহিভূত হইলেও, তিনি বহুক্ষণ নিশ্চেষ্টভাবে দণ্ডায়মান রছিলেন, পরে অশ্রজ্জ্বল বিসর্জন করিতে করিতে শূন্যরথ লইয়। अरबांशाग्न अङाशिगन कब्रिtगन । সন্ধ্য উপস্থিত হইল। আজ অযোধ্যাবাসী প্রজাবৰ্গ, মুমন্ত্র,অথবা স্বহৃদ্ধর গুহ, কেহই সঙ্গে নাই। রাম লক্ষণ ও সীতা জনপদের বাহিরে, সৰে মাত্র এই প্রথম নিশা দর্শন করিতেছেন। অ্যাবধি রামলক্ষ্মণকে । আলস্তপূন্ত হইয়া রাত্ৰিজাগরণ করিতে হইবে, স্বহস্তে তৃণপত্র আহরণ পূৰ্ব্বক শয্যা প্রস্তুত করিতে হইবে, এবং সীতার রক্ষণাবেক্ষণ ও
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।