tro সীতা । श्रनख्द्र द्रछनौ थडांड इहेरण,ब्राम शन्न१ ७ नौठ भशर्मिब्र निरुप्ले বিদায় গ্রহণ করিয়া ভীষণ দণ্ডকারণ্যে প্রবেশ করিলেন) এই মহারণা দূর হইতে ঘনকৃষ্ণ নিবিড় মেঘমালার স্তায় পরিদৃষ্ট হইতে ছিল ; তাহ সুবিশাল তরুরাজিতে পরিপূর্ণ ও দুচ্ছেদ্য লতাজালে সমাকীর্ণ ; তন্মধ্যে নিরস্তুর ঝিল্লিকাধবনি হইতেছে এবং পক্ষিসকল ভয়ঙ্কর কোলাহল করিতেছে। কোথাও ব্যাঘ্র ভল্লুক প্রভৃতি হিংস্র জন্তুগণ ইতস্তত: সঞ্চরণ করিতেছে, কোথাও বা বিকটাকার রাক্ষসগণ সকলের সন্ত্রাস সমুৎপন্ন করিয়া নিৰ্ভয়ে পরিভ্রমণ করিতেছে। স্থলে স্থলে ঋষিজনসেবিত মনোহর আশ্রমসকলও বনবিভাগ আলোকিত করিয়া বিরাজ করিতেছে। রামচন্দ্র, লক্ষ্মণও সীতার সহিত, তাহাদের অপূৰ্ব্ব শোভা দর্শন করিয়া নয়নমন চরিতার্থ করিলেন এবং পবিত্রস্বভাব তপস্বিগণও র্তাহাদের সমুচিত সৎকার করিয়া পরম প্রীতিলাভ করিতে লাগিলেন। সীতাদেবী এতদিন মহারণ্যের অপূৰ্ব্ব সৌন্দৰ্য্যদর্শনে বিমুগ্ধ হইতেছিলেন এবং বনভ্রমণলালসাও তাহার মনে দিন দিন পরিবৰ্দ্ধিত হইতেছিল। মহাবীর রামচন্দ্রের ভুজবলের আশ্রয়ে থাকিয় তিনি এপর্য্যন্ত বনবাসজনিত বিশেষ কোন কষ্টই প্রাপ্ত হন নাই । কিন্তু বনবাস যে নিরবচ্ছিন্ন মুখের নহে এবং সেখানে যে মধ্যে মধ্যে ভয়ঙ্কর বিপদসকল ও উপস্থিত হয়, একদিন সীত। তাহ। বিলক্ষণ হৃদয়ঙ্গম করিলেন। একদা প্রভাতকালে রামচন্দ্র মুনিগণকে সম্ভাষণ করিয়া লক্ষ্মণ ও সীতার সহিত অরণ্যমধ্যে প্রবেশ করিলেন। কিয়ার যাইতে ন যাইতেই, বিরাধনামে এক বিকটদৰ্শন রাক্ষস আসিয়া তাহাদিগকে আক্রমণ করিল এবং সীতাকে স্বন্ধে উত্তোলন পূৰ্ব্বক রাম লক্ষ্মণের বিনাশসাধনে যত্নবান হইল। রাম সীতার এই ; আকস্মিক বিপৎপাতে শোকাকুল হইলেন, এবং তদণ্ডেই ধনুৰ্ব্বাণ গ্রহণপূর্বক দুষ্ট নিশাচরকে শরজালে নিপীড়িত করিতে লাগিলেন।
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।