সপ্তম অধ্যায় । Ե-3 রাক্ষস রামশরে তাড়িত হইয়া সীতাকে ভূমিতলে সংস্থাপন পূৰ্ব্বক ভ্রাতৃমুগলকে রোষভরে আক্রমণ করিল, এবং তাহাদিগকে স্বন্ধে আরোপণ করিয়া গভীর অরণ্যে প্রবেশ করিল। সীতাদেবী স্বামী ও দেবরের এই দুর্দশ দেখিয়া, বিগ্ল কুররীর ন্যায়, ক্ৰন্দন করিতে করিতে রাক্ষসের অমুসরণ করিলেন, এবং করুণস্বরে বলিতে লাগিলেন “রাক্ষস, তুমি এই মুশীল সত্যপরায়ণ রাম ও লক্ষ্মণকে পরিত্যাগ কর এবং উহঁাদের পরিবর্তে আমাকে লইয়া যাও।” রাম ও লক্ষ্মণ সীতার বিলাপ শ্রবণ করিয়া বিরাধের বাহুযুগল ভগ্ন করিলেন এবং তাহাকে ভূমিতলে আকর্ষণ ও অস্ত্রদ্বারা আঘাত করিয়া মৃত্তিকামধ্যে প্রোথিত করিলেন। বিরাধ প্রাণত্যাগ করিলে, তাহার। অচিরে ভয়বিহবলা জানকীর নিকট উপস্থিত হইয় তাহাকে অভয় প্রদান করিলেন । - , জানকী এই এক ঘটনা হইতেই বনবাসের দুঃখসকল অবধারণ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। কিন্তু তিনি ইহাতে কিছুমাত্র ভীত হইলেন না। স্বামীর সহিত যে কোন কষ্ট সহ করিতে তিনি সৰ্ব্বদাই প্রস্তুত ছিলেন। স্বামিবিরহিত হইয়া স্বর্গমুখও মিথ্যা। বাহাহউক, সীতার মনে কোন শঙ্কা না হইলেও রাম ও লক্ষ্মণ অতঃপর বিশেষ সতর্কতার সহিত বনে বিচরণ করিতে লাগিলেন। অরণ্য অতিশয় দুৰ্গম, এরূপ অরণ্যে র্তাহারা আর কখনও প্রবেশ করেন নাই। তাই রামচন্দ্র একটা নিরুপদ্রব ও ভয়শূন্ত স্থানের অন্বেষণে প্রবৃত্ত হইলেন । - - অনতিদূরে মহর্ষি শরভঙ্গের আশ্রম ছিল। র্তাহারা আশ্রম মধ্যে প্রবেশ পূর্বক মহর্বিকে অভিবাদন করিলেন। মহর্ষি প্রীতমনে তাহাদিগকে আতিথ্যে নিমন্ত্ৰণ করিলেন এবং তাহদের নিমিত্ত স্বতন্ত্র এক বাসস্থান নির্দিষ্ট করিয়া দিলেন। এইরূপে শিষ্টাচার পরিসমাপ্ত
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।