সপ্তম অধ্যায় । trన তাহারা আশ্রমের নিকটবর্তী হুইবামাত্র, মহাবীর লক্ষ্মণ অগ্রসর ছইয়া মহর্ষিসন্নিধানে রামচন্দ্র ও দেবী জানকীর আগমনসংবাদ প্রেরণ করিলেন। মহর্ষিতাহীদের আগমনবার্তা প্রাপ্ত হইয়া অতিশয় পুলকিত হইলেন এবং তদণ্ডেই তাহাদিগকে সমাদরপূৰ্ব্বক আশ্রম মধ্যে আনয়ন করিতে এক সুযোগ্য শিষ্যকে প্রেরণ করিলেন। এদিকে স্বয়ং অগস্ত্যও রামচন্দ্রের প্রত্যুদগমনার্থ ঋষিগণের সহিত গাত্ৰোখান করিলেন ; তিনি অগ্রসর হইবার উপক্রম করিতেছেন এমন সময়ে রাম লক্ষ্মণ ও সীতাদেবী উপস্থিত হইয় তাহাকে অভিবাদন করিলেন। মহর্ষি প্রতিসহকারে তাহীদের যথাবিধি সৎকার করিলেন, এবং ' র্তাহারা তাহাকেই দেখিতে আসিয়াছেন, ইহা শ্রবণ করিয়া পরম আহলাদিত হইলেন। মহর্ষি বলিলেন, “তোমরা জানকীকে লইয়া আমায় অভিবাদন করিতে আসিয়াছ ; রাম, ইহাতে প্রীত হইলাম, কুশলী হও ; লক্ষ্মণ, আমি অতিশয় পরিতুষ্ট হইলাম। এক্ষণে, পথশ্রমে তোমাদের কষ্ট হইতেছে, জানকীও নিশ্চয় বিশ্রামার্থ উৎসুক হইয়াছেন। এই মুকুমারী কখনও ক্লেশ সহ করেন । নাই, কেবল পতিস্নেহে দুঃখপূর্ণ বনে আসিয়াছেন। রাম, এস্থানে ইনি যেরূপে মুখে থাকেন, তুমি তাহাই কর। তোমার অনুসরণ করিয়া, ইনি অতি দুষ্কর কার্য্য সাধন করিতেছেন। ইনি সকল প্রকার দোষশূন্ত হইয়া, সুরসমাজে দেবী অরুন্ধতীর দ্যায়, পতিব্ৰতার অগ্রগণ্য হইয়াছেন। বৎস, তুমি ইহঁাকে ও লক্ষ্মণকে লইয়া বাস করিলে, এই স্থান শোভিত হইৰে সনোহ নাই ।” (৩১৩) রাম মহর্ষির বাক্য শ্রবণ করিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে বিনীতবচনে কহিলেন “তপোধন, আপনি গুরু ; যখন আপনি আমাদের গুণে পরিতুষ্ট হইয়াছেন, তখন আমরা ধন্ত ও অনুগৃহীত হইলাম। যেখানে বন মাছে এবং জলও সুলভ, আপনি আমাকে এমন একটা স্থান
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৯৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।