সুরম্য পঞ্চবটী বনে রাম ਮਸ਼ੀ সুখেই কালযাপস্থা করিয়াছিলেন। নির্জন বন, তাহাতে অগণ্য কুমুমিত বৃক্ষ ও লতা; নানাবিধ পক্ষী তাহাতে বাস করিত। ময়ূৰ্বসকল ময়ূরীগণে পরিবেষ্টিত হইয়৷ তাহাদের পরিচ্ছন্ন কুটরাঙ্গনে নৃত্য করিত। রাম জানকীর সহিত মৃগচৰ্ম্মে উপবেশন পূর্বক তাহাদের নৃত্য দেখিয়া কতই আনন্দলাভ করিতেন। কখন কখন হরিণহরিণীদল শান্তভাবে তাছাদের আশ্রমের চতুর্দিকে বিচরণ করিত, এবং এক এক বার হরিণনয়ন সীতার মুখপানে বিশ্বাসপূর্ণ বিলোল দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া আবার নিঃশঙ্কচিত্তে স্বকোমল তৃণভক্ষণে রত হইত। সীতার অমানুষী মূৰ্ত্তিদর্শনে তাহারা সমস্ত আশঙ্কাই পরিহার পূর্বক গৃহপালিত পশুর ন্তায় তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ গমন করিত। কত মনোহর মুক পক্ষী আসিয়া প্রাঙ্গণস্থ পুষ্পিত বৃক্ষশাখায় উপবেশন পূর্বক সুললিত গানে সীতার কর্ণকুহরে অমৃতধারা বর্ষণ করিত। সীতা কখন কখন স্বামীর সহিত অরণ্যে ভ্রমণ করিতেন। ভ্রমনকালে তিনি কত সুগন্ধ পুষ্পই চয়ন করিতেন ! সেই পুষ্পসকলে সীতা নানা প্রকার ভূষণ রচনা করিয়া অঙ্গে ধারণ করিতেন। রামচন্দ্র জানকীয় বনদেবীর স্থায় অপূৰ্ব্ব শোভা দেখিয়া পুলকিত হইতেন। কখন বা রামও তমালবৃক্ষের সুগন্ধি পল্পৰ দ্বারা সীতার নিমিত্ত মনোহর কর্ণভূষণ রচনা করিতেন, এবং স্বহস্তে,তাহা প্রিয়তমার শুভ্র গণ্ডদেশে লম্বিত করিয়া আনন্দিত হইতেন। সীতাও প্রিয়জমের ঈদৃশ আদর ও প্রতিদানে সম্বন্ধিত হইয়া লঙ্কার সঙ্কুচিত হইতেন। রজ্জ ও আন একত্র সম্মিলিত হইয়।
পাতা:সীতা (অবিনাশ চন্দ্র দাস).djvu/৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।