পাতা:সীমান্ত গান্ধী - সুকুমার রায়.pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রকাশকের কথা

 সীমান্ত গান্ধীর বয়স এখন ৮৩ বৎসর। জ্ঞানের জ্যোতিতে উজ্জ্বল তাহার মুখমণ্ডল। গাম্ভীর্য ও প্রশান্তভাবমণ্ডিত তাহার চরিত্র। মুখে সর্বদা হাসি লাগিয়াই আছে। ভারতের নেতৃবৃন্দের মধ্যে তিনিই দীর্ঘতম ব্যক্তি। খাঁটি হিন্দুস্থানীতে তিনি কথা বলেন। অবশ্য কথা বলেন অতি অল্পই। তিনি বাণী অথবা বক্তৃতা দেওয়া পছন্দ করেন না। সীমান্ত গান্ধী কর্মে বিশ্বাসী এবং দরিদ্রদের মধ্যে কাজ করিতেই তিনি ভালবাসেন। তিনি বলেন, “আমি খোদার সেবকমাত্র। আমি খোদাই খিদমদগার। এই দেশের যে লক্ষ লক্ষ দরিদ্র গ্রামের মানুষ তাছে, তাহাদের মধ্যে গিয়া কাজ করাতেই আমি বিশ্বাস করি।”

 ২২ বৎসর বয়সে খাঁ আবদুল গফুর খান সক্রিয়ভাবে দেশের কাজে আত্মনিয়োগ করিয়াছেন এবং অদ্যাবধি তিনি ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীনভাবে দেশের সেবা করিয়া আসিতেছেন। সুদীর্ঘ কারালাঞ্ছনা ও নির্যাতনে নিপীড়িত, আত্মত্যাগে সুমহান্, স্বাধীনতা-সাধনার এই বীর পুরোহিতকে সাম্রাজ্যবাদী নিষ্পেষণ ও প্রতিকূল অবস্থার ঘাত-প্রতিঘাত এক মুহূর্তের জন্যও নিরুদ্যম বা নিবীর্য করিতে পারে নাই। তাঁহার ‘সেবার মহৎ ব্রত’ ভঙ্গ করিতে পারে নাই।

 গফুর খান কখনও ধর্মকে কর্ম হইতে পৃথক করিয়া দেখেন নাই। ধর্মে একান্ত বিশ্বাস হইতেই তিনি কর্মের অনুপ্রেরণা লাভ করিয়াছেন। তিনি খোদাই-খিমগার। খোদর সেবা অর্থাৎ মানবসেবাই তাঁহার ধর্ম। অহিংসা ও মানবসেবাকে