মাছি দেখল তার ভুল হয়েছে, তাই সে দূরে উড়ে গেল।
তারপর সে নদীর কাছে এল। নদীর মধ্যে ছিল একটা মাছ আর একটা চিংড়ি। মাছি মাছটিকে বলল: তোমার লেজটা আমায় দাও, ওটা তো কেবল তোমার সুন্দর হবার জন্যে আছে।
মাছ বলল: এটা কেবল সুন্দর হবার জন্যে আছে তা নয়, এটা আমার দাঁড়। তুমি দেখ, যদি আমি ডানদিকে বেঁকতে চাই তাহলে লেজটা আমি বাঁ-দিকে বেঁকই আর বাঁ-দিকে চাইলে ডান-দিকে বেঁকই। আমি কিছুতেই আমার লেজটি তোমায় দিতে পারি না।
মাছি তখন চিংড়িকে বলল: তোমার লেজটা তাহলে আমায় দাও, চিংড়ি!
চিংড়ি জবাব দিল: তা আমি পারব না। দেখ না, আমার পা-গুলো চলার পক্ষে কি রকম সরু আর দুর্বল, কিন্তু আমার লেজটি চওড়া আর শক্ত। যখন আমি জলের মধ্যে এটা নাড়ি, তখন এ আমায় ঠেলে নিয়ে চলে। নাড়ি-চাড়ি, নাড়ি-চাড়ি - আর যেখানে খুশি সাঁতার কেটে বেড়াই। আমার লেজও দাঁড়ের মতো কাজ করে।
মাছি আরো দূরে উড়ে গেল।
ঝোপের মধ্যে মাছি একটা হরিণকে তার বাচ্চার সঙ্গে দেখতে পেল। হরিণটির ছোট্ট একটি লেজ ছিল- ক্ষুদে নরম, সাদা লেজ।
অমনি মাছি ভন্ভন্ করতে আরম্ভ করল: তোমার ছোট্ট লেজটি দাও না হরিণ!
হরিণ ভয় পেয়ে গেল।
হরিণ বললে: কেন ভাই? কেন? যদি তোমায় আমি লেজটা দিই, তাহলে আমি যে আমার বাচ্চাদের হারাব।
অবাক হয়ে মাছি বললে: তোমার লেজ তাদের কি কাজে লাগবে?