নারদ: মানুষের হাত থেকে স্বর্গের আর নিস্তার নেই মহারাজ, সর্বনাশ হয়ে গেছে।
ইন্দ্র: আঃ, বাজে বকবক না করে আসল ব্যাপারটা খুলে বলুন না, কি হয়েছে?
ব্রহ্মা: আর কী হয়েছে! অ্যাটম বোমা! - বুঝলে? অ্যাটম বোমা।
ইন্দ্র: কই, অ্যাটম বোমার সম্বন্ধে কাগজে তো কিছু লেখে নি?
নারদ: ও আপনার পাঁচ বছরের পুরনো মফঃস্বল সংস্করণ কাগজ। ওতে কি ছাই কিছু আছে নাকি?
ইন্দ্র: অ্যাটম বোমাটা তবে কি জিনিস?
ব্রহ্মা: মহাশক্তিশালী অস্ত্র! পৃথিবী ধ্বংস করে দিতে পারে।
ইন্দ্র: আমার বজ্রের চেয়েও শক্তিশালী?
নারদ: আপনার বজ্রে তো শুধু একটা তালগাছ মরে, এতে পৃথিবীটাই লোপাট হয়ে যাবে।
ইন্দ্র: তাইতো, বড় চিন্তার কথা। এই রকম অস্ত্র আমরা তৈরী করতে পারি না? বিশ্বকর্মা কি বলে?
নারদ: বিশ্বকর্মা বলছে তার সেকেলে মালমশলা আর যন্ত্রপাতি দিয়ে ওসব করা যায় না। তা ছাড়া সে যা মাইনে পায় তাতে অত খাটুনি পোষায়ও না।
ইন্দ্র: তবে তো মুস্কিল! ওরা আমার পুষ্পকরথের নকল করে এরোপ্লেন করেছে, আর বজ্রের নকল করে অ্যাটম বোমাও করল। এবার যদি হানা দেয় তা হলেই সেরেছে। আচ্ছা অগ্নি, তুমি পৃথিবীটাকে পুড়িয়ে দিতে পার না?
অগ্নি: আগে হলে পারতুম। আজকাল দমকলের ঠেলায় দম আটকে মারা যাই যাই অবস্থা।
ইন্দ্র: বরুণ! তুমি ওদের জলে ডুবিয়ে মারতে পার না?