পাতা:সুকান্ত সমগ্র.djvu/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হরিণীর মা-র কিন্তু পছন্দ হল না তার মেয়ের এই বাঁশি-শোনা। তাই সে মেয়েকে বললে:

ও আমার দুষ্টু মেয়ে,
রোজ সকালে নদীর ধারে যাস কেন ধেয়ে।
ভুল ক’রে আর যাসনেরে তুই শুনতে বাঁশি
ওরা সব দুষ্টু মানুষ মন ভুলাবে মিষ্টি হাসি
বুঝি বা ফাঁদ পেতেছে ওরা তোকে একলা পেয়ে॥

তখন হরিণী তার মা-কে বুঝায়:

না গো মা, ভয় ক’রো না
সে তো মানুষ নয়।
সে যে গো রাখাল ছেলে,
আমি তার কাছে গেলে
বড্ড খুশি হয়॥

এমনি করে সুরের মায়ায় জড়িয়ে পড়ে হরিণী। রাখাল ছেলে হরিণীকে শোনায় বাঁশি, আর হরিণী রাখাল ছেলেকে শোনায় গান:

তোমার বাঁশির সুর যেন গো
নদীর জলে ঢেউয়ের ধ্বনি,
পাতায় পাতায় কাঁপন জাগায়
মাতায় বনের দিনরজনী।
সকাল হলে যখন হেথায় আস
বাঁশির সুরে সুরে আমায় গভীর ভালবাসো—
মনের পাখায় উড়ে আমি
স্বপনপুরে যাই তখনি॥

২৬৬