পনেরো
অরুণ,
আমি এখনও এখানেই আছি। অথচ ‘আমি কেমন আছি’ এই খবরটা নেবার যে তোর দরকার হয় না, এইটাই আমাকে বিস্মিত করেছে। যদিও বুঝি যে এর পেছনে রয়েছে তোর Duty-র প্রতিকূলতা। (তোর কোনো অসুখ হয় নি তো?) তাই তোর ঔদাসীন্যকে সহজেই ক্ষমা করা যায়।
যাই হোক, কাল (২২।১২।৪৩) তুই তোর ‘Duty’ ৩টেয় শেষ করে অন্যান্য কাজ আধ ঘণ্টায় সেরে ৪টের মধ্যে এখানে আসবি বাসে চেপে। সঙ্গে Govt. Art School-এ Exhibition দেখতে যাবার মতো গাড়িভাড়াও আনিস। তোর অসুখ না-হয়ে থাকলে আশা করি, আমার এ-অনুরোধ পালিত হবে। ২১।১২।৪৩
♠
ষোল
অরুণ!
বিয়ের দিন২৭ সকাল বেলায় তোর চিঠি পেলাম। তোর কথা মতো শুধু বিশ্বনাথকে ‘জনযুদ্ধ’ দেওয়ার সুযোগ পেলাম না বিয়ের কাজের চাপে। অন্য অনুরোধগুলো রাখবার চেষ্টা করব।
এই চিঠির প্রধান আলোচ্য বিষয় বিয়ে এবং বিয়েও হয়ে গেল দুদিন হল। আজ ফুলশয্যা। বিয়েটা আমার ভাল লাগে নি, বরং খুব নিরানন্দেই কেটেছে। বিশেষ করে আদর এবং সম্মান পাওয়ায়