‘কবিতাগুচ্ছে’র অন্তর্গত তেরোটি কবিতা ১৩২৩ মাঘ থেকে ১৩৩০ কার্তিক এই প্রায় সাত বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে সন্দেশে প্রকাশিত হয়েছিল। এর মধ্যে একমাত্র ‘কিছু চাই’ কবিতাটি সুকুমার রায়ের মৃত্যুর পরে ১৩৩০-এর কার্তিক-সংখ্যা সন্দেশে প্রকাশিত হয়। অন্যান্য কবিতাগুলির প্রকাশের সময় সুকুমারই ছিলেন সন্দেশের সম্পাদক। ১৩১৩ বৈশাখ সংখ্যা ‘মুকুল'-এ ‘কানা-খোঁড়া সংবাদ’ প্রথম প্রকাশিত হওয়ার সাড়ে চোদ্দো বছর পরে সংশোধিত আকারে সন্দেশে কবিতাটির বর্তমান-পাঠ প্রকাশিত হয়।
'আবোল তাবোল’ পর্যায়ের কবিতাগুলির প্রথম কবিতা ‘খিচুড়ি'র প্রকাশ কাল—১৩২১-এর মাঘ এবং শেষ কবিতা ‘পালোয়ান’ প্রকাশিত হয় ১৩৩০-এর ভাদ্র-সংখ্যা সন্দেশে— অর্থাৎ ঐ-সব উদ্ভট খেয়ালরসের কবিতার পাশাপাশিই বর্তমান পর্যায়ের নির্মল হাস্যরসের কবিতাগুলিও তিনি প্রায় একই সময় রচনা করে চলেছিলেন। কাব্যগুণে ‘আবোল তাবোল’ পর্যায়ের কবিতাগুলির সঙ্গে তুলনীয় না হলেও এই কবিতাগুলির মধ্যে সরল হাস্যরসিক সুকুমারের পরিচয় পেতে কস্ট হয় না। উপরন্তু এগুলির কয়েকটিতে নাট্যগুণ ও কাহিনীরস এতে ভিন্নতর আস্বাদন এনে দিয়েছে। এই পর্যায়ের কবিতার মধ্যে ‘আবোল তাবোল’, ‘বাবু’, ‘কানা-খোঁড়া সংবাদ’ ও ‘কিছু চাই’ এই চারটি কবিতা ছাড়া অন্যগুলি সিগনেট প্রেস প্রকাশিত সুকুমার রায়ের কবিতা-সংকলন ‘খাই খাই'-এর অন্তর্ভুক্ত হলেও, সব কবিতার সন্দেশে মুদ্রিত পাঠ-ই আমরা এ ক্ষেত্রে গ্রহণ করেছি। কবিতাগুলির বিন্যাসেও সন্দেশে প্রকাশিত কালানুক্রম অনুসৃত হয়েছে।