কাজের লোক
প্রথম। বাঃ—আমার নাম ‘বাঃ’।
বসে থাকি তােফা তুলে পায়ের উপর পা!
লেখাপড়ার ধার ধারি নে, বছর ভরে ছুটি,
হেসে খেলে আরাম করে দুশো মজা লুটি।
কারে কবে কেয়ার করি, কিসের করি ডর?
কাজের নামে কম্প দিয়ে গায়ে আসে জ্বর।
গাধার মতো খার্টিস তোরা মুখটা করে চুন—
আহাম্মকি কাণ্ড দেখে হেসেই আমি খুন।
সকলে। আস্ত একটা গাধা তুমি স্পষ্ট গেল দেখা,
হাসছ যত, কান্না তত কপালেতে লেখা।
দ্বিতীয়। ‘যদি’ বলে ডাকে আমায়, নামটি আমার ‘যদি’—
আশায় আশায় বসে থাকি হেলান দিয়ে গদি।
সব কাজেতে থাকত যদি খেলার মতো মজা,
লেখাপড়া হত যদি জলের মতো সোজা—
স্যাণ্ডোসমান ষণ্ডা হতাম যদি গায়ের জোরে,
প্রশংসাতে আকাশ-পাতাল যদি যেত ভরে
উঠে পড়ে লেগে যেতাম বাজে তর্ক ফেলে।
করতে পারি সবই— যদি সহজ উপায় মেলে।
সকলে। হাতের কাছে সুযােগ, তবু ‘যদি’র আশায় বসে—
নিজের মাথা খাচ্ছি বাপু নিজের বুদ্ধিদোষে।
তৃতীয়। আমার নাম ‘বটে’। আমি সদাই আছি চটে—
কট্মটিয়ে তাকাই যখন, সবাই পালায় ছুটে।