পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।


পৃথিবীতে বাস করাই দায় হইত। যে প্রাণী এক-একবারে হাজার হাজার জন্মিতেছে তাহাদের প্রত্যেকটি যদি বড়ো হইতে পায়, আর প্রত্যেকের হাজার হাজার করিয়া ছানা হয়, আর এইরকম বছরের পর বছর চলিতে থাকে, তবে অবস্থাটা নিতান্তই সাংঘাতিক হইয়া দাঁড়ায় বৈকি। এরূপভাবে বাড়িতে পারিলে একটিমাত্র শামুকের বংশধরেরা পাঁচ-সাত বৎসরের মধ্যে সমস্ত কলিকাতা শহরটিকে একেবারে বেমালুম ঢাকিয়া দিতে পারিত। | বলিতে গেলে একসময় এই পৃথিবীতে ইহাদেরই রাজত্ব ছিল। সেকালের হিসাবেও ইহা খুবই পুরাতন সময়ের কথা। তখন আর কোনো জীবজন্তু ছিল না কেবল নানারকম শঙ্খ আর অদ্ভুত জলজন্তুরা এই দুনিয়ার পরিচয় লইয়া ফিরিত। আজও তাহাদের কংকাল জমিয়া কত মাটির নীচে কত সমদ্রের বুকে বড়ো-বড়ো স্তর বঁধিয়া আছে। গেঁড়ির কথা বলিতে গেলে সবচাইতে বড় যে আফ্রিকার রাক্ষুসে গেঁড়ি তাহার কথাও বলা উচিত। সেগুলি কতখানি বড়ো তাহা পুরাপুরি দেখাইতে গেলে বই-এর পৃষ্ঠায় কুলাইবে। ইহারা একটি করিয়া লম্বাগোছের ডিম পাড়ে—ঠিক পাখির ডিমের মতো শক্ত আর সাদা। কিন্তু সমুদ্রের শ জাতীয় জন্তুদের মধ্যে ইহার চাইতে অনেক বড়ো জীবও বিস্তর দেখা মায়। তাহাদের এক-একটির খোলা এমন প্রকাশ হয় যে, একটি ছোটোখাটো ছেলেকে তাহার মধ্যে অনায়াসে শোয়াইয়া রাখা যায়। • শামুকের খায় কি? নরম ঘাস, কচি পাতা, জলের পানা-এইগুলি অনেকেরই প্রধান খাদ্য। আবার কেহ কেহ আছেন, তাহাদের নিরামিষে রুচি নাই, তাহারা নানারকম পোকা জীবজন্তর কথা