নাটক
সুকুমার রায়ের ঝালাপালা ও লক্ষ্মণের শক্তিশেল নাটক দুটি প্রথম খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমান খণ্ডে সুকুমারের অবশিষ্ট সমস্ত নাটক প্রকাশিত হল। এর মধ্যে অবাক জলপান (জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৭), হিংসুটি (ভাদ্র, ১৩২৭) ও মামা গো (চৈত্র, ১৩২৭) ‘সন্দেশ’-এর সম্পাদনাকালে সুকুমার রচনা করেন। মামা গো নাটিকাটি সিগনেট প্রেস প্রকাশিত সুকুমার রায়ের নাট্য-সংকলন ‘ঝালাপালা’র পরিবর্ধিত সংস্করণে ছিল না। ‘ঝালাপালা’র প্রথম সংস্করণে (১৩৫১) ঝালাপালা, লক্ষ্মণের শক্তিশেল, অবাক জলপান ও হিংসুটি এই চারটি নাটক সংকলিত হয়েছিল। পরবর্তী সংস্করণে (বৈশাখ, ১৩৬৯) বাকি তিনটি নাটক সংকলিত হয়। আনন্দ পাবলিশার্স প্রকাশিত ‘সুকুমার সাহিত্য সমগ্র’র দ্বিতীয় খণ্ডে মামা গো নাটিকাটি সংকলিত হয়েছে। ভাবুক সভা (আশ্বিন, ১৩২১) লেখক অঙ্কিত চিত্র-সহ প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। শ্রীশ্রীশব্দকল্পদ্রুম ১৩২১ সালে রচিত হয়। ১৩২৪ সালে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের জন্মোৎসব-অনুষ্ঠানে সুকুমার রায় ও তাঁর সম্প্রদায় এই নাটকটি মঞ্চস্থ করেন। পরবর্তী কালে ‘অলকা’ পত্রিকায় নাটকটি প্রকাশিত হয়।
চলচিত্তচঞ্চরি নাটকটি ‘শব্দকল্পদ্রুমে’র প্রায় সমসাময়িক রচনা। কিন্তু সুকুমার রায়ের মৃত্যুর পরে বিচিত্রা পত্রিকার আশ্বিন, ১৩৩৪ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
‘শ্ৰীশ্ৰীশব্দকল্পদ্রুম’ বা চলচিত্তচঞ্চরি এই দুটি নাটককে ঠিক কিশোর-মনের উপযোগী বলা যায় না বটে কিন্তু তার বহিরঙ্গের রসগ্রহণে কিশোর পাঠকেরাও পলকিত হবেন নিশ্চয়ই। এই দুটি নাটকে সুকুমারের বিচিত্র শব্দসৃষ্টি ও ভাষা ব্যবহার লক্ষ্য করার মতো! পণ্ডিত ও রসিক এখানে একাত্ম হয়ে গেছেন, নাটকগুলিও হয়ে উঠেছে সর্বজন উপভোগ্য।
নাটকের ‘পাঠ'-এ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত ‘পাঠ’কেই আমরা গ্রহণ করেছি। সিগনেট সংস্করণে ‘হিংসুটি’ নাটকটিতে সুকুমার রায়ের ‘হিংসুটি’ নামক কবিতাটি যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু পত্রিকার পাঠে না থাকায় এটি আমরা প্রথমে গ্রহণ করেও তার পর বর্জন করলাম। নাটকগুলির বিন্যাসে কোনো কালানুক্রম অনুসৃত হয় নি।