জালা-কুঁজো সংবাদ
পেট মোটা জালা কয়, ‘হেসে আমি মরি রে
কুঁজো তোর হেন গলা এতটুকু শরীরে!”
কুঁজো কয়, “কথা কস্ আপনাকে না চিনে,
ভুঁড়িখানা দেখে তোর কেঁদে আর বাঁচি নে।”
জালা কয়, “সাগরের মাপে গড়া বপুখান,
ডুবুরিরা কত তোলে তবু জল অফুরান।”
কুঁজো কয়, “ভালো কথা! তবে যদি দৈবে,
ভুঁড়ি যায় ভেস্তিয়ে, জল কোথা রইবে?”
“নিজ কথা ভুলে যাস্?” জালা কয় গর্জে,
“ঘাড়ে ধরে হেঁট করে জল নেয় তোর যে!”
কুঁজো কয়, “নিজ পায়ে তবু খাড়া রই তো—
বিঁড়ে বিনা কুপোকাৎ, তেজ তোর ঐ তো!”
নাচের বাতিক
বয়স হল অষ্টআশি, চিম্সে গায়ে ঠুন্কো হাড়,
নাচছে বুড়ো উল্টোমাথায়—ভাঙলে বুঝি মুণ্ডুঘাড়!
হেঁইও বলে হাত-পা ছেড়ে পড়ছে তেড়ে চিৎপটাং,
উঠছে আবার ঝট্পটিয়ে এক্কেবারে পিঠ সটান্।
বুঝিয়ে বলি, “বৃদ্ধ, তুমি এই বয়েসে করছ কি?
খাও-না খানিক মসলা গুলে হুঁকোর জল আর হর্তকী।
ঠাণ্ডা হবে মাথার আগুন, শান্ত হবে ছট্ফটি—”
বৃদ্ধ বলে, “থাম্-না বাপু, সব তাতে তোর পট্পটি!
ঢের খেয়েছি মসলা পাঁচন, ঢের মেখেছি চর্বি তেল;
তুই ভেবেছিস আমায় এখন চাল মেরে তুই করবি ফেল?”
এই-না বলে ডাইনে বাঁয়ে লম্ফ দিয়ে হুশ্ করে
হঠাৎ খেয়ে উল্টোবাজি ফেলল আমায় ‘পুশ’ করে।
“নাচলে অমণ উল্টোরকম”, আবার বলি বুঝিয়ে তায়,
“রক্তগুলো হুড়হুড়িয়ে মগজপানে উজিয়ে যায়।”