লাগল। রাজামশাই তো কখনো এত টাকা দান করেন না। সে গিয়ে মন্ত্রীকে খবর দিল।
মন্ত্রী বললেন, “তাই তো হে, এটা তো আগে খেয়াল হয় নি। তা এখন তো আর উপায় নাই, মহারাজের হুকুম নড়চড় হতে পারে না!”
তারপর আবার কয়েকদিন গেল। ভাণ্ডারী আবার মহাব্যস্ত হয়ে মন্ত্রীর কাছে হিসাব শোনাতে চলল। হিসাব শুনে মন্ত্রীমশায়ের মুখের তালু শুকিয়ে গেল।
তিনি ঘাম মুছে, মাথা চুলকিয়ে, দাড়ি হাতড়িয়ে বললেন, “বল কি হে। এখনি এত? তা হলে মাসের শেষে কত দাঁড়াবে?”
ভাণ্ডারী বলল, “আজ্ঞে তা তো হিসাব করা হয় নি!”
মন্ত্রী বললেন, “দৌড়ে যাও, এখনি খাজাঞ্চিকে দিয়ে একটা পুরো হিসাব করিয়ে আন।”
ভাণ্ডারী হাঁপাতে হাঁপাতে ছুটে চলল; মন্ত্রীমশাই মাথায় বরফ জলের পট্টি দিয়ে ঘন ঘন হাওয়া খেতে লাগলেন।
আধ ঘণ্টা যেতে না যেতেই ভাণ্ডারী কাঁপতে কাঁপতে হিসাব নিয়ে এসে হাজির।
মন্ত্রী বললেন, “সবসুদ্ধ কত হয়?”
ভাণ্ডারী হাত জোড় করে বলল, “আজ্ঞে, এক কোটি সাতষট্টি লক্ষ সাতাত্তর হাজার দুশো পনের টাকা পনের আনা তিন পয়সা।” মন্ত্রী চটে গিয়ে বললেন, “তামাশা করছ নাকি?” ভাণ্ডারী বলল, “আজ্ঞে তামাশা করব কেন? আপনিই হিসাবটা দেখে নিন!”
১ম দিন— |
১৬শ দিন— |
৫১২৲ |
এই বলে সে হিসাবের কাগজখানা মন্ত্রীর হাতে দিল। মন্ত্রীমশাই হিসাব