সাগর যেথায়
সাগর যেথায় লুটিয়ে পড়ে নতুন মেঘের দেশে,
আকাশ ধোয়া নীল যেখানে সাগর জলে মেশে।
মেঘের শিশু ঘুমায় সেথা আকাশ দোলায় শুয়ে,
ভোরের রবি জাগায় তারে সোনার কাঠি ছুঁয়ে।
সন্ধ্যা সকাল মেঘের মেলা কূল কিনারা ছাড়ি,
রঙ-বেরঙের পাল তুলে দেয় দেশ-বিদেশে পাড়ি।
মাথায় জটা মেঘের ঘটা আকাশ বেয়ে ওঠে,
জোছনারাতে চাঁদের সাথে পাল্লা দিয়ে ছোটে।
কোন্ অকলের সন্ধানেতে কোন্ পথে যায় ভেসে,
পথহারা কোন্ গ্রামের পারে, নাম-জানা-নেই দেশে।
ঘূর্ণীপথের ঘোরের নেশা দিক্বিদিকে লাগে,
আগল-ভাঙা পাগল হাওয়া বাদল রাতে জাগে;
ঝড়ের মুখে স্বপন টুটে, আঁধার আসে ঘিরে,
মেঘের প্রাণে চমক হানে আকাশ চিরে চিরে!
বুকের মাঝে শঙ্খ বাজে দুন্দুভি দেয় সাড়া,
মেঘের মরণ ঘনিয়ে নামে মত্ত বাদল ধারা॥
সন্দেশ—১৩২১
আয় রে আলো আয়
পুব গগনে রাত পোহালো,
ভোরের কোলে লাজুক আলো নয়ন মেলে চায়।
আকাশতলে ঝলক জ্বলে,
মেঘের শিশু খেলার ছলে আলোক মাখে গায়।
সোনার আলো, রঙিন আলো,
স্বপ্নে আঁকা নবীন আলো—আয় রে আলো আয়।
আয় রে নেমে আঁধার পরে,
পাষাণ কালো ধৌত করে আলোর ঝরনায়।
ঘুম ভাঙালো পাখির তানে
জাগ রে আলো আকুল গানে অকূল নীলিমায়।
আলসভরা আঁখির কোণে,
দুঃখভয়ে আঁধার মনে, আয় রে আলো আয়॥
সন্দেশ—১৩২৬