এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
পশুপাখি
কত বড়
ছোট সে একরতি ইঁদুরের ছানা,
ফোটে নাই চোখ তার, একেবারে কানা।
ভাঙা এক দেরাজের ঝুলমাখা কোণে,
মার বুকে শুয়ে শুয়ে মার কথা শোনে।
যেই তার চোখ ফোটে সেই দেখে চেয়ে—
দেরাজের ভারি কাঠ চারিদিক ছেয়ে।
চেয়ে বলে, মেলি তার গোল গোল আঁখি—
"ওরে বাবা! পৃথিবীটা এত বড় নাকি?”
সন্দেশ—১৩২৭
বড়াই
গাছের গোড়ায় গর্ত করে ব্যাঙ বেঁধেছেন বাসা,
মনের সুখে গাল ফুলিয়ে গান ধরেছেন খাসা।
রাজার হাতি হাওদা পিঠে হেলেদুলে আসে—
‘বাপ রে!’ বলে ব্যাঙ বাবাজি গর্তে ঢোকেন ত্রাসে!
রাজার হাতি, মেজাজ ভারি হাজার রকম চাল;
হঠাৎ রেগে মটাং করে ভাঙলো গাছের ডাল৷
গাছের মাথায় চড়াই পাখি অবাক হয়ে কয়—
‘বাস রে বাস! হাতির গায়ে এমন জোরও হয়!’
মুখ বাড়িয়ে ব্যাঙ বলে, ‘ভাই, তাইতো তোরে বলি—
আমরা, অর্থাৎ চার পেয়েরা, এমিনভাবেই চলি॥’
সন্দেশ—১৩২২
সু.স.র.--২০
১৫৩