বিচার
ইঁদুর দেখে মামদো কুকুর বল্লে তেড়ে হেঁকে—
“বলবো কি আর, বড়ই খুশি হলেম তোরে দেখে।
আজকে আমার কাজ কিছু নেই, সময় আছে মেলা,
আয় না খেলি দুইজনাতে মোকদ্দমার খেলা।
তুই হবি চোর, তোর নামেতে করব নালিশ রুজু"—
“জজ কে হবে?” বল্লে ইঁদুর, বিষম ভয়ে জুজু।
“কোথায় উকিল, প্যায়দা, পুলিশ, বিচার কিসে হবে?”
মামদো বলে, “তাও জানিস নে? শোন বলে দিই তবে।
আমিই হব উকিল, হাকিম, আমিই হব জুরি,
কান ধরে তোর বলবো, ‘ব্যাটা, ফের করেছিস চুরি?'
সটান দেব ফাঁসির হুকুম অমনি একেবারে—
বুঝবি তখন চোর বাছাধন বিচার বলে কারে!”
সন্দেশ—১৩২৮
বিষম কাণ্ড
কর্তা চলেন, গিন্নি চলেন, খোকাও চলেন সাথে,
তড়বড়িয়ে, বুক ফুলিয়ে শুতে যাচ্ছেন রাতে।
তেড়ে হনহন চলে তিনজন যেন পল্টন চলে,
সিঁড়ি উঠতেই, একি কাণ্ড! এ আবার কি বলে!
ল্যাজ লম্বা, কান গোল গোল, তিড়িং-বিড়িং ছোটে,
চোখ মিটমিট, কুটুস কাটুস—এটি কোন জন বটে!
হেই! হুশ! হ্যাশ! ওরে বাস রে মৎলবখান কিরে?
করলে তাড়া যায় না তবু, দেখছে আবার ফিরে।
ভাবছে বুড়ো, করবো গুঁড়ো ছাতার বাড়ি মেরে,
আবার ভাবে ফসকে গেলে কামড়ে দেবে তেড়ে।
আরে বাপ রে! বসলো দেখ দুই পায়ে ভর করে,
বুক দুরদুর বুড়ো ভল্লুর, মোমবাতি যায় পড়ে।
ভীষণ ভয়ে দাঁত কপাটি, তিন মহাবীর কাঁপে,
গড়িয়ে নামে হুড়মুড়িয়ে সিঁড়ির ধাপে ধাপে।
সন্দেশ—১৩৩০