শিশুর দেহ
চশমা-আঁটা পণ্ডিতে কয়, শিশুর দেহ দেখে—
'হাড়ের পরে মাংস গেঁথে, চামড়া দিয়ে ঢেকে,
শিরার মাঝে রক্ত দিয়ে, ফুসফুসেতে বায়ু,
বাঁধলো দেহ সুঠাম করে পেশী এবং স্নায়ু।’
কবি বলেন, ‘শিশুর মুখে হেরি তরুণ রবি,
উৎসারিত আনন্দে তার জাগে জগৎ ছবি,
হাসিতে তার চাঁদের আলো, পাখির কলকল,
অশ্রুকণা ফুলের দলে শিশির ঢলঢল।
মা বলেন, ‘এই দুরু দুরু মোর বুকেরই বাণী,
তারি গভীর ছন্দে গড়া শিশুর দেহখানি।
শিশুর প্রাণে চঞ্চলতা আমার অশ্রুহাসি,
আমার মাঝে লুকিয়ে ছিল এই আনন্দরাশি।
গোপনে কোন্ স্বপ্নে ছিল অজানা কোন্ আশা,
শিশুর দেহে মূর্তি নিল আমার ভালোবাসা।’
সন্দেশ--১৩২৯
বেজায় খুশি
বাহবা বাবুলাল! গেলে যে হেসে!
বগলে কাতুকুতু কে দিল এসে?
এদিকে মিটিমিটি দেখ কি চেয়ে?
হাসি যে ফেটে পড়ে দু গাল বেয়ে!
হাসে যে রাঙা ঠোঁট দন্ত মেলে,
চোখের কোণে কোণে বিজলি খেলে।
হাসির রসে গলে ঝরে যে লালা,
কেন এ খি-খি-খি-খি হাসির পালা?
যে দেখে সেই হাসে হাহাহা হাহা,
বাহবা বাবুলাল, বাহবা বাহা!
সন্দেশ--১৩২২