খোকা ঘুমায়
কোন্খানে কোন্ সুদূর দেশে, কোন্ মায়ের বুকে,
কাদের খোকা মিষ্টি এমন ঘুমায় মনের সুখে?
অজানা কোন্ দেশে সেথা, কোন্খানে তার ঘর?
কোন্ সমুদ্র, কত নদী, কত দেশের পর?
কেমন সুরে কি বলে মা ঘুমপাড়ানি গানে,
খোকার চোখে নিত্যি সেথা ঘুমটি ডেকে আনে?
ঘুমপাড়ানি মাসিপিসি, তাদেরও কি থাকে?
‘ঘুমটি দিয়ে যাওগো’ বলে মা কি তাদের ডাকে?
শেয়াল আসে বেগুন খেতে, বর্গি আসে দেশে?
ঘুমের সাথে মিষ্টিমধুর মায়ের সুরটি মেশে?
খোকা জানে মায়ের মুখটি সবার চেয়ে ভালো,
সবার মিষ্টি মায়ের হাসি, মায়ের চোখের আলো।
স্বপন মাঝে ছায়ার মতো মায়ের মুখটি ভাসে,
তাইতে খোকা ঘুমের ঘোরে আপন মনে হাসে॥
সন্দেশ—১৩২০
ভারি মজা
এই নেয়েছ, ভাত খেয়েছ, ঘণ্টাখানেক হবে—
আবার কেন, হঠাৎ হেন, নামলে এখন টবে?
একলা ঘরে ফুর্তিভরে, লুকিয়ে দুপুর বেলা
স্নানের ছলে ঠাণ্ডা জলে জল-ছপ-ছপ খেলা!
জল ছিটিয়ে, টব পিটিয়ে, ভাবছ ‘আমোদ ভারি,
কেউ কাছে নাই, যা খুশি তাই করতে এখন পারি।’
চুপ চুপ চুপ—ওই দুপদুপ! ওই জেগেছে মাসি,
আসছে ধেয়ে শুনতে পেয়ে দুষ্টু মেয়ের হাসি॥
সন্দেশ—১৩২৮