ছুটি
ছুটি! ছুটি! ছুটি!
মনের খুশি রয় না মনে, হেসেই লুটোপুটি।
ঘুচলো এবার পড়ার তাড়া, অঙ্ক কাটাকুটি,
দেখব না আর পণ্ডিতের ওই রক্ত আঁখিদুটি।
আর যাব না স্কুলের পানে নিত্য গুটি গুটি,
এখন থেকে কেবল খেলা, কেবল ছুটোছুটি।
পাড়ার লোকের ঘুম ভাঙিয়ে আয় রে সবাই জুটি,
গ্রীষ্মকালের দুপুর রোদে গাছের ডালে উঠি।
আয় রে সবাই হল্লা করে হরেক মজা লুটি,
একদিন নয়, দুইদিন নয়, দুই দুই মাস ছুটি!
পড়ার হিসাব
ফিরল সবাই ইস্কুলেতে সাঙ্গ হল ছুটি---
আবার চলে বই বগলে সবাই গুটি গুটি।
পড়ার পরে কার কি রকম মনটি ছিল এবার,
সময় এল এখন তারই হিসেবখানা দেবার।
কেউ পড়েছেন পড়ার পুঁথি, কেউ পড়েছেন গল্প,
কেউ পড়েছেন ছন্দমতন, কেউ পড়েছেন অল্প।
কেউ-বা তেড়ে গড়গড়িয়ে মুখস্থ কয় ঝাড়া,
কেউ-বা কেবল কাঁচুমাচু মোটে না দেয় সাড়া।
গুরুমশাই এসেই ক্লাসে বলেন, ‘ওরে গদাই,
এবার কিছু পড়লি? নাকি খেলতি কেবল সদাই?”
গদাই ভয়ে চোখ পাকিয়ে ঘাবড়ে গিয়ে শেষে
বলে, ‘এবার পড়ার ঠেলা বেজায় সর্বনেশে--
মামার বাড়ি যেনি যাওয়া অমনি গাছে চড়া,
এক্কেবারে অনি ধপাস–পড়ার মতো পড়া!’