পেতাম? সেই যে একদিন টিনের তৈরি দুষ্টু পুতুলটা খাট থেকে পড়ে গিয়েছিল—নিশ্চয় ওরা রাত্রে উঠে মারামারি করেছিল। তা না হলে খাট থেকে পড়লো কেন? আজ থেকে আমি ঘুমোবার সময় খুব ভালো করে কান পেতে থাকব।”
পুতুলের জন্মদিনে কি চমৎকার খাবার! ময়দার মিঠাই, ময়দার পিঠে, ছোট্ট-ছোট্ট নারকেলের মোয়া, আর ছোট্ট-ছোট্ট গুড়ের টিকলি—এমনি সব আশ্চর্য আশ্চর্য জিনিস। রাত্রে শোবার আগে খুকি তার পুতুলদের ঝেড়ে মুছে, নাইয়ে, খাইয়ে ঘুম পাড়ালো আর বলে দিল, “এই দেখ, খাবার টাবার রইল, রাত্রে উঠে খাস।” কোথায় কে বসবে, কোন্টার পর কোন্টা খাবে, ঝগড়া করলে কে কি শাস্তি পাবে, সব বলে, তারপর দুষ্টু পুতুলটাকে খুব বকে, ধমকে আর ছোট্ট পুতুলকে জন্মদিনের জন্য খুব খানিকটা আদর-টাদর করে, তারপর খুকি গেল বিছানায় শুতে। যেমনি শোওয়া, অমনি ঘুম।
খুকিও ঘুমিয়েছে, আর অমনি ঘরের মধ্যে কাদের টিপটিপ পায়ের শব্দ শোনা যাচ্ছে। তাদের একজন খুকুমণির জুতোর কাছে, ঘরের কোণে, ছবির বইগুলোর কাছে, পুতুলদের চাদরঢাকা খাটের কাছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে; এটা ওটা শুঁকছে আর কুটুর কুটুর করে এতে ওতে কামড়িয়ে দেখছে! খানিকটা বর্ণপরিচয়ের পাতা খেয়ে দেখলো, ভালো লাগে না; জুতোর ফিতেটা চিবিয়ে দেখলো তার মধ্যে কিছু
রস নেই; টিনের পুতুলটাকে কামড়িয়ে দেখল—ওরে বাবা, কি শক্ত! এমন সময়ে, হঠাৎ অন্ধকারে তার চোখ পড়লো—টেবিলে সাজানো ও-সব কি রে!
দৌড়ে, চেয়ারটেবিল উল্টে, এক লাফে টেবিলের ওপর চড়ে সে একটুখানি শুঁকেই ব্যস্ত হয়ে বলল, “কিঁচ কিঁচ, কিঁই-চ!” তার মানে, “ওগো শিগ্গির এসো— দেখে যাও!” অমনি টিপটিপ, টুপটুপ, ট্যাপট্যাপ, থপ করে সেইরকম আরেকটা এসে হাজির। ঠিক সেইরকম লোমে ঢাকা ছেয়ে রঙ, সেইরকম সরু লম্বা ল্যাজ, আর