পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-প্রথম খণ্ড.djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

রচিত হয়েছিল “আমাদের শান্তিনিকেতন” গানের প্যারডি করে।

 সভ্যতালিকায় যাঁদের নাম পাওয়া যায় তাঁদের মধ্যে ছিলেন সুকুমার রায়, সুবিনয় রায়, প্রভাতচন্দ্র গংগোপাধ্যায়, অতুলপ্রসাদ সেন, জীবনময় রায়, কালিদাস নাগ, দ্বিজেন্দ্রনাথ মৈত্র, সুরেন্দ্রনাথ মৈত্র, গিরিজাশঙ্কর রায়চৌধুরী, অজিতকুমার চক্রবতী, নির্মলকুমার সিদ্ধান্ত, অমলচন্দ্র হোম, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, কিরণশঙ্কর রায়, চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ দত্ত, সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, গিরিশচন্দ্র শর্মা, কিরণকুমার বসাক, হিরণকুমার সান্যাল, প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ ইত্যাদি।

 ক্লাবে নাচ-গান, খাওয়া-দাওয়া ছাড়া বিভিন্ন রসপূর্ণ ও জ্ঞানগর্ভ বিষয়ের আলোচনা হত। দেশ-বিদেশের সাহিত্য, দর্শন, ধর্মতত্ত্ব কিছু, এদের বৈঠক থেকে বাদ পড়তো না।

 এখানেও সুকুমারের ছড়াকাটার অদম্য অভ্যাস পদে পদে কাজ করে গেছে। নেমন্তম্নের চিঠি বেরোচ্ছে ছডায়—

“সতেরোই শনিবার অপরাহ্ণ বেলা,
গড়পারে হৈ হৈ সরবতী মেলা,
সরবৎ, সদালাপ, সংগীত ভীতি,
ফাঁকি দিলে নাহি লাভ,

জেনে রেখো ইতি।”

 ক্লাবের ‘অধিকারী’ শিশিরকুমার দত্ত বা ‘খোদন’ নোটিস দিয়েছেন যে সভায় সুকুমার রায় মিসিং লিংক সম্বন্ধে প্রবন্ধ পড়বেন। এতে ছড়ার বদলে ছবি—ছবিতে খাবারের রেকাব হাতে দাড়িওয়ালা ব্যক্তি অবশ্যই শিশিরকুমার দত্ত আর পাঠরত লোকটির সকুমারের সঙ্গে সাদৃশ্য না থাকলেও, মিসিং লিংকের সঙ্গে আছে প্রচুর এখানে উল্লেখ্য যে শিশিরকুমার দত্ত ছিলেন সুপ্রভার মাসতুত ভাই, অর্থাৎ সুকুমারের সম্পর্কে শালা।

 বড়বউ সুপ্রভার ডাকনাম ‘টুলু’, আর সুবিনয়ের বিয়ে হল মধ্যপ্রদেশের নামকরা ডাক্তার লক্ষীনারায়ণ চৌধুরীর মেয়ে পুষ্পলতা বা পুষুর সঙ্গে। ক্লাবের চিঠি বেরোলো—

“আসছে কাল, শনিবার
অপরাহ্ন সাড়ে চার,
আসিয়া মোদের বাড়ি,
শুভ পদধুলি ঝাড়ি,
কৃতার্থ করিলে সবে
টুলুপুষু খুশি হবে।”

আরেকটা চিঠিতে সভ্যদের নাম নিয়ে ঠাট্টা করা হয়েছে-

‘কেউ বলেছে খাবো খাবো,
কেউ বলেছে খাই,
সবাই মিলে গোল তুলেছে-
আমি তো আর নাই।

জীবনী
১৫