পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-প্রথম খণ্ড.djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

 “এই বলে পণ্ডিতমশাই এক টিপ নস্যি নিয়ে, নাকে মুখে গুঁজে, আবার নাক ডাকিয়ে ঘুমোতে লাগলেন।”

 “তারপর সেই বাবুরা কি বলল?”

 “বাবুরা হাঁ করে বোকার মতো মাথা চুলকোতে চুলকোতে বাড়ি চলে গেল আর ভাবলো পণ্ডিতটা কি বোকা!”

সন্দেশ—১৩২২


সত্যি

 ইনি কে জানো না বুঝি? ইনি নিধিরাম পাটকেল!

 কোন্ নিধিরাম? যার মিঠাইয়ের দোকান আছে?

 আরে দুৎ! তা কেন? নিধিরাম ময়রা নয়—প্রফেসর্ নিধিরাম!

 ইনি কি করেন?

 কি করেন আবার কি? আবিষ্কার করেন!

 ও বুঝছি! ঐ যে উত্তর মেরুতে যায়, যেখানে ভয়ানক ঠাণ্ডা— মানুষজন সব মরে যায়—

 দূর মুখ্যু! আবিষ্কার বললেই বুঝি উত্তর মেরু বুঝতে হবে, বা দেশ-বিদশে ঘুরতে হবে? তাছাড়া বুঝি আবিষ্কার হয় না?

 ও! তাহলে?

 মানে, বিজ্ঞান শিখে, নানারকম রাসায়নিক প্রক্রিয়া করে নতুন নতুন কথা শিখছেন, নতুন নতুন জিনিস বানাচ্ছেন। ইনি আজ পর্যন্ত কত কি আবিষ্কার করেছেন তোমরা তার খবর রাখ কি? ওঁর তৈরি সেই গন্ধবিকট তেলের নাম শোননি? সেই তেলের আশ্চর্য গুণ! আমি নিজে মাখি নি বা খাই নি কিন্তু আমাদের বাড়িওয়ালার কে যেন বলেছেন যে সে ভয়ংকর তেল। সে তেল খেলে পরে পিলের ওষুধ, মাখলে পরে ঘায়ের মলম, আর গোঁফে লাগালে দেড় দিনে আধহাত লম্বা গোঁফ বেরোয়।

 সে কী মশাই! তাও কি হয়?

 আলবাৎ হয়! বললে বিশ্বাস করবে না, কিন্তু নন্দলাল ডাক্তার বলেছে ভুলু মিত্তিরের খোকাকে ঐ তেল মাখিয়ে তার এয়া মোটা গোঁফ হয়ে গেছিল।

 কি আবোল তাবোল বকছেন মশাই!

 বিশ্বেস করতে না চাও বিশ্বেস করো না, কিন্তু চোখে যা দেখেছ তা বিশ্বেস করবে ত? কী কাণ্ড হচ্ছে দেখছ তো? ঐ দেখ নিধিরাম পাটকেলের নতুন কামান তৈরি হচ্ছে। নতুন কামান, নতুন গোলা, নতুন সব। একি সহজ

নানা গল্প
১৯৭