ছোটকু বলে ‘রইনু চুপে
কমাস ধরে কাহিল রূপে,’
জংলি বলে ‘রামছাগলের
মাংস খেতে চাই।’
যতই বলি ‘সবুর কর’—কেউ শোনে না—কালা!
জীবন বলে কোমর বেঁধে ‘কোথায় লুচির থালা?”
খোদন বলে রেগে মেগে,
ভীষণ রোষে বিষম লেগে
‘বিষ্যুতে কাল গড়পারেতে
হাজির যেন পাই।’
চিঠির শেষে জরুরি বিজ্ঞপ্তি—“ইনসিওর ইওর লাইফ উইথ গ্রেশামস্, এ্যাট্ওয়ান্স!”—শিশিরকুমার দত্ত যে ‘গ্রেশাম’ কোম্পানির দালালি করতেন এটা তারই প্রতি বক্রোক্তি।
‘অধিকারী’ তাঁর দালালির কাজে কিছুদিন বিহার সফরে গেলেন। তখন চিঠি দেয়া হল—
‘ক্লাবটিরে ছাড়ি হল অধিকারী
মাস তিনচারি বিহার-বিহারী।
বিরহেতে তারি ব্যথা পেয়ে ভারি
নিঃশ্বাস ছাড়ি ভিজাইল দাড়ি
যত বুড়োধাড়ি সভ্যের সারি—
তিনি ফিরে এলেন। পরের চিঠিতে তাঁর ছোট্ট ছাগলদাড়িওয়ালা চন্দ্রবদনের ছবির নীচে লেখা হল
‘শুনেছিনু গেছে গেছে,
শুনেছিনু, নেই সে,
দাড়ি নেড়ে চাঁদা চায়
আষাঢ়ের বাইশে!’
আরেকটি ছড়ায় চিঠি দিয়ে এই অংশ শেষ করি, শিশিরকুমার দত্তের বকলমে লেখা হয়েছে
‘আমি, অর্থাৎ সেক্রেটারি,
মাস তিনেক কলকাতা ছাড়ি
যেই গিয়েছি অন্য দেশে,
অমনি কি সব গেছে ফেঁসে!
বদলে গেছে ক্লাবের হাওয়া,
কাজের মধ্যে কেবল খাওয়া,
চিন্তা নেই কো গভীর বিষয়,
আমার প্রাণে এ-সব কি সয়?
এখন থেকে সমঝে রাখো,