পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-প্রথম খণ্ড.djvu/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুলে আমার ছবি পাঠাতে কার যেন ছবি পাঠিয়ে দিয়েছে। ওটা ফেরৎ দিতে হবে।”

 শুনে সরকারমশাই মাথা নেড়ে বললেন, “দেখেছ! ওরা ভেবেছে আমায় ঠকাবে। আমি দেখেই ভাবছি অমন ভিরকুটি দেওয়া প্যাখনা হাসি—এ আবার কার ছবি।”

 খুড়ো বললেন, “দেখ না! চোখদুটো যেন উল্টে আসছে—যেন গঙ্গাযাত্রার জ্যান্ত মড়া!” রেধো ধোপা, সেও বলল, “একটা কাপড় পরেছে যেন চাষার মতো। ওর সাতজন্মে কেউ যেন পোশাক পরতে শেখে নি।” নাপিতভায়া মুচকি হেসে মুখ বেঁকিয়ে বলল, “চুল কেটেছে দেখ না—যেন মাথার ওপর কাস্তে চালিয়েছে।” কেনারাম ভীষণ খেপে চেঁচিয়ে বলল, “আমি সকাল বেলায় ঘরে ঢুকেই চোর ভেবে চমকে উঠেছি। আরেকটু হলেই মেরেছিলাম আর কি! আবার এরা বলছিল, ওটা নাকি বাবুর ছবি। আমার সামনে ও কথা বললে মুখ থুড়ে দিতুম না!” তখন সবাই মিলে একবাক্যে বলল যে, সবাই তারা টের পেয়েছিল, এটা বাবুর ছবি নয়। বাবুর নাক কি আমন চ্যাটালো? বাবুর কি হাঁসের পায়ের মতো কান? ও কি বসেছে, না ভালুক নাচছে?

সন্দেশ—১৩২৫
নানা গল্প
২০৫