এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
ঝালাপালা
পাত্রগণ
পণ্ডিতমশায়, ঘটিরাম ও কেষ্টা: ছাত্র, পুলিস, দুলিরাম ও খেঁটুরাম: জমিদারের মোসাহেব, কেবলচাঁদ: ওস্তাদ, রামকানাই: জমিদারের ভৃত্য, কেদারকৃষ্ণ : জমিদারের মামা, জুড়ির দল
প্রথম দশ্য
পন্ডিতমশায়ের বাড়ি
জুড়ির প্রবেশ ও গান
সখের প্রাণ গড়ের মাঠ
ছাত্র দুটি করে পাঠ
পড়ায় নাই রে মন
সবাই হচ্ছে জ্বালাতন!
অতি ডেঁপো দুকান কাটা
ছাত্র দুটি বেজায় জ্যাঠা
কাউকে নাহি মানে
সবাই ধরো ওদের কানে!
গুরুমশাই টিকিওয়ালা
নিত্যি যাবেন ঝিঙেটোলা
জমিদারের বাড়ি—
সেথা আড্ডা জমে ভারি!
[ জুড়ির প্রস্থান
পণ্ডিতের প্রবেশ
পণ্ডিত। (স্বগত) রোজ ভাবি জমিদারমশাইকে বলে কয়ে তার বাড়িতেই একটা টোল বসাব। তা একটু নিরিবিলি যে কথাটা পাড়ব, সে আর হয়ে উঠল না। যে-সব বাঁদর জুটেছে, দুটো বাজে কথা বলবার কি আর জো আছে? এই জন্যেই বলি, ন্যায়শাস্ত্র যে পড়ে নি সে মানুষই নয়—সে গোরু, মর্কট!
এই আবার চলল! এ এখন সারাদিন চলতে থাকবে! গলা তো নয়, যেন ফাটা বাঁশ!
নেপথ্যে ওস্তাদী গানের আওয়াজ
গানের তাড়ায় পাড়াসুন্ধ লোক ত্রাহি ত্ৰাহি কচ্ছে—কাগটা পৰ্যন্ত ছাতে বসতে ভরসা পায় না—অথচ ভাবখানা দেখায় এমনি, যেন গান শুনিয়ে আমাদের সাতচোদ্দং তিপান্ন পুরুষ উদ্ধার করে দিচ্ছে। আ মোলো যা—
এত দেরি হল কেন? এতক্ষণ কি কাঁচ্ছলি?
ঘটিরামের প্রবেশ
ঘটিরাম। আজকে শিগগির-শিগগির ছুটি দিতে হবে।
পণ্ডিত। বটে! অনেক দিন পিঠে কিছু পড়ে নি বঝি! ছুটি কিসের?
ঘটিরাম। তাও জানেন না! ও-পাড়ায় গানের মজলিস হবে যে! বড়-বড় ওস্তাদ—
পণ্ডিত। না, না, ছুটি পাবি নে, যা! পড়ার সঙ্গে সম্পক্ক নেই, এসেই ছুটির খোঁজ।
ঘটিরাম। বাঃ ঝিঙেটোলার জমিদারবাব আসবেন!
পণ্ডিত । লাটসাহেব এলেও যেতে পাবি নে। কেষ্টা কোথায়!
ঘটিরাম । জানি নে। ডেকে আনব?—ওরে কেষ্টা!
[ প্রস্থানোদ্যম
পণ্ডিত। থাক থাক, ডাকতে হবে না। ওখেনে বসে পড়।
ঘটিরাম। ‘অল্ ওয়ার্ক্ অ্যান্ড্ নো প্লে মেক্স্ জ্যাক্ এ ডাল্ বয়’—বালকদিগকে খেলিবার সুযোগ দেওয়া উচিত, কেন না, কেবলই লেখাপড়া করিলে মনের স্ফূর্তি নষ্ট হয়। হ্যাঁ, হ্যাঁ, বালকদিগকে খেলিবার
নাটক
২২১