খে’টরাম। কত ওস্তাদ গাইয়ে জব্দ হল। পণ্ডিত। ওহে, বেশি বাড়িয়ে কাজ কি ? আমাদের ন্যায়শাস্ত্রে বলেছে—অলমতিবিস্তারেন—বেশি বাড়াতে নেই। খে"ট্রাম। আমি অনেক হাঙ্গামা করে তবে ওঁকে এনেছি। দলিরাম। তুই এনেছিস ? দেখলেন মশাইরা, উনি! খোটরাম। খবরদার ! দলিরাম। চোপরও ! খে“ট্রাম। ফের ! পন্ডিত। সমাশ্বসীহি, সমাশ্বসীহি, জমিদারমশায়ের সামনে এমন গাহতি আচরণ করতে নেই! আহা! সঙ্গীতশাস্ত্র-রসানভিজ্ঞ, সঙ্গীত আর ন্যায়শাস্ত্র বুঝলেন কিনা— অতি উপাদেয় জিনিস ! আমাদের ন্যায়শাস্ত্রে বলেছে—অদ্ভুত-তভাবে চৰী সে এক অত্যন্তুদ ব্যাপার— জমিদার। তাহলে গান আরম্মভ হোক । ওস্তাদাঁজ আপনি মাঝে-মাঝে আমাদের গান-টান শোনাবেন— কেবল। হ্যাঁ, তা, শোনাব বৈকি-অবিশ্যি এর দরুন আমার সব কাজকমের বড় ভয়ঙ্কর ক্ষেতি হবে, কিন্তু তা হোক— পণ্ডিত। আরে ছো, ছো! তুমি তো ভারি ছোটলোক হে। এই সামান্য কাজটুকু করতেও তোমাদের যত রাজ্যের আপত্তি! আজ যদি জমিদারমশাই আদেশ করেন, এখেনে একটা টোল খলতে হবে—আমার একশো কাজ থাক, হাজার কাজ থাক, আমি অমনি টোল খলতে লেগে যাব। কেন ? না, এটা আমাদের কতব্য। আমাদের উচিত যে ওঁর খাতিরে কিছু ত্যাগ স্বীকার করি, হোকগে ক্ষেতি, তাতে কি ? বিশ্বাস হচ্ছে না? রামা! যাও তো, এখনি একটা লোক পাঠিয়ে আমার জিনিসগুলো ধী করে আনিয়ে দাও তো—চণ্ডী জমিদারমশায়ের সম্মান রাখতেই হবে। নাটক জমিদার। কিন্তু এখেনে জায়গার যে বড় অসুবিধে— পণ্ডিত। কিচ্ছ না, কিচ্ছ না—ওর মধ্যেই সুবিধা করে নেব। ব্যবলেন চন্ডীবাব, আপনি আমার জন্যে চিন্তিত হবেন না। রামা ! রামকানাই। আবার কেন ? পণ্ডিত। ঐ বাইরের বড় ঘরটায় আমার বন্দোবস্ত করে দাও তো । রামকানাই। সেখেনে দেখলাম দটি বাবা বসে আছেন। দলিরাম। হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমার গায়ের লোক । আপনার বাগানটা দেখলাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে—তাই ওদের বলে কয়ে এনেছি ; ওরা এ বিষয়ে একেবারে একসপার্ট । মাইনের জন্য ভাববেন না-পঞ্চাশ টাকা দিলেই হবে। পড়িত। যা! বাবদের হটিয়ে দে। বলগে ওখেনে টোল বসবে। দলিরাম। সিকী ! আমার গায়ের লোক! হবন্ত্রামের অপমান! পন্ডিত। আরে না, না-- রামা, দেখিস যেন বাবদের ধমক-ধামক করিস নে--জমিদার মশায়ের যাতে অখ্যাতি না হয়—মিষ্টি করে বলবি। আর দেখা (গলা নামাইয়া) নেহাত যদি না শোনে ঘাড়ে ধাক্কা দিয়ে দিস। থে"ট্রাম। শোন—ঘর-টর দিয়ে কাজ নেই— জিনিসপত্রগুলো এনে উঠোনে ফেলে রাখিস— পণ্ডিত। আর দেখ–ঐ শব্দকল্পদুমখানা আনতে ভুল হয় না যেন—আর কয়েকখানা মল্যেবান বই আছে— দলিরাম। যেমন কথামালা ধারাপাত— পণ্ডিত। সেগুলো হারায় না যেন— কেবল। হা—িসেই গানের কথাটা চাপা পড়ে গেল— রামকানাই। হ্যাঁ, হ্যাঁ, গানটা হয়ে যাক— তারপর যাব এখন । কেবল। এখানে বাজিয়ে কেউ নেই ? 을
পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-প্রথম খণ্ড.djvu/২৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।