কচ্ছে সবাই যাচ্ছা তাই আসছে যে-কেউ পাচ্ছে ঠাই, ইকিরকম হচ্ছে ভাই ? কচ্ছে সবাই যাচ্ছা তাই! তৃতীয় দশ্য জমিদার বাড়ি কেদারকৃষ্ণ, জমিদার ও রামকানাই কেদার। ডোন্ট পরওয়ার ভাগেন। আমি সব ঠিক করে দিচ্ছি। তুমি বড় জোর দটো দিন গা ঢাকা দিয়ে থাক। রামা ! রামকানাই। আজ্ঞে— কেদার। তুই মেলা বন্ধি খরচ করিস নে— যা বলব তাই করে যাবি । আগে আমার বইগুলো আর খাতা পেনসিলটে বার করে রাখ । রামকানাইয়ের প্রশথান ভাগেন, তুমি নাকে সরষের তেল দিয়ে ঘমোও গিয়ে, আমি সব সাবাড় করে দিচ্ছি-কিছু গোল-টোল বাধলে সব দোষ আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিও--আমীয় গাল দিয়ে একেবারে ভূত ছাড়িয়ে দিও। উ ভসেল প্রস্থান পণ্ডিত ও দলিরামের প্রবেশ পন্ডিত। হ্যাঁ দেখ, কাল জমিদারমশাই বড় আপসোস কচ্ছিলেন—বলছিলেন, এই খোটরামের উৎপাতে তাঁর আর সোয়াসিত নেই—ওকে যত শিগগির পার অধচন্দ্র দিয়ে বিদায় করে দাও—আমাদের ন্যায়শাস্ত্রে বলেছে, প্রহারেণ ধনঞ্জয়ঃ—বুঝলে কি না ? দলিরাম। হ্যাঁ, এ আর একটা মশকিল কি ? এক্ষণি ঘাড় ধরে-- খোঁটরোমের প্রবেশ দাঁড়ান আমার গায়ের লোক দুটোকে ডেকে আনি। দলিরামের প্রস্থান नाछेदः পন্ডিত। হ্যাঁ দেখ, কাল জমিদারমশাই যা চটেছেন দলিরামের ওপর—কী বলব ! দেখ, শেষটায় ওর জন্যেই ৩োমাদের সকলের অন্ন মারা যাবে। ওকে যদি তাড়াতে পার, আঃ—জমিদারমশাই যা খুশি হবেন ! খে‘ট্রাম। ব্যস্ত হচ্ছেন কেন ? সব কয়টাকে ভাগিয়ে দিচ্ছি, (স্বগত) তোমাকে সন্ধ। পন্ডিত । আর তোমার নিন্দেটা যা করে, কী বলব--এইমাত্র তোমার নামে যা নয় তা বলে গেল । দলিবামের প্রবেশ রামা! ওরে রামারে! ঝট করে দলটো পান দিয়ে যা তো- রামাটা গেল কোথায় ? ওহে, রামাকে একটা ডেকে দাও তো। খে‘ট্রাম। না রে, ডাকিস নে। দলিরাম। রামা --হয়তো বাড়ি নেই। খে"ট্রাম। রামাটা ভারি দুষ্ট! এতক্ষণ হয়তো ছিল, যেই আপনি ডেকেছেন, আমনি হয়তো পালিয়েছে । দলিরাম। হয়তে অসুখ-টসুখ করেছে। পণ্ডিত। তোমরা হয়তো-হয়তো করেই সব সারলে দেখছি । রামারে! বামকানাইয়ের প্রবেশ রামা, জমিদারমশাই নীচে নামলে একটা খবর দিস তো, আমার একট নিরিবিলি কথা আছে। খোটরাম। আ মোলো যা! আমারও নিরি বিলি কথা আছে। দলিরাম ; আমারও আছে— রামকানাই। তোমরা বসে-বসে ভেরেন্ডা ভাজো, তিনি আজ নীচে নামছেন না–তাঁর মামা এসেছেন যে! তাঁকে কিন্তু তোমরা চটিও না, ভারি বদমেজাজ আর রগচটা— এই যে তিনি আসছেন—আসন, আসনে— মামা! ২৩১
পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-প্রথম খণ্ড.djvu/২৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।