ঘাঁটরাম ও কেন্টার প্রবেশ ঘাঁটরাম । মাথা ধরেছে ? অ্যাঁ ? কেল্টা। আজ বঝি আমাদের ছয়টি ? অ্যf ? পণ্ডিত কর্তৃক উভয়কে চপেটাঘাত পন্ডিত। বা! এখন ত্যক্ত করিস নে— কেটা। কিরে, তোকে মারল নাকি ? ঘটিরাম। দৎ! আমাকে মারবে কেন ? তোকে তো মারল । কেটা। হ্যাঃ! নিজে মার খেয়ে এখন— ঘটিরাম। আমি দেখলাম তোকে মারল— [ ঘটিরাম ও কেটার প্রস্থান কেদার। হ্যাঁ, তারপর শনেন— পন্ডিত। এ তো আচ্ছা বেল্লিকের হাতে পড়া গেল! ইকী মশায়! বলছি শনিব না —কেন খামখা বিরক্ত কচ্ছেন ? কেদার। আহা! এইটে শুনে নিন—আমি ছেলেবেলায় একটা পোয়েট্রি লিখেছিলাম— তখন বয়েস অলপ। কিন্তু সে হিসেবে লেখাটা কেমন দেখনে— কেদারকৃষ্ণের কবিতা পাঠ একদা সকালে আমি খাইতেছিলাম ভাত হেন কালে ধেয়ে আসে প্রকান্ড এক ব্যাঘ্ৰ ভয় পেয়ে সকলে তো থরহরি কম্পমান চিৎকারিল কেহ সমকরণ আত রবে অথবা যেমতি লটখটে গোরুর গাড়ি চলিবার কালে প্রকাশে দারিদ্র্য নিজ বিচিত্র বিলাপে— কেহ জপে রাম নাম—আমি হয়ে কন্ধ ডাকিলাম ভূতাকে—হরে, ধেয়ে যাও দ্রুত রাস্তার দরজাটা করে দাও বন্ধ— আর নিয়ে এস বাট করে তিনতলা হতে আমার সে দ-নলা বন্দক'-এইরপে বাখানিল সবে মোর উপস্থিত বন্ধি কহিল সকলে, “আজি মরিতাম নিৰ্ঘাত যদি না থাকিত ব্যাঘ্র পিঞ্জরের মধ্যে— পণ্ডিত। হাড় জবালালে দেখছি— কেদার। (স্বগত) বকে-বকে গলা শুকিয়ে গেল—এখন রামাকে লেলিয়ে দি গিয়ে— কেদারকৃষ্ণের প্রশৰ্থান Rや8 খে'টরাম ও দলিরামের প্রবেশ পণ্ডিত। যাও, যাও এখন আমায় ঘটিও না, আমার মেজাজ ভালো নেই। খোঁটরাম। ওরে বাসরে, দবাসা মনির মেজাজ ভালো নেই! দলিরাম। দেখিস ঘাঁটাস-টাটাস নে—শেষটায় ব্ৰহ্মতেজে ভস্ম হয়ে যাবি। রামকানাইয়ের প্রবেশ রামকানাই। ওয়াক – থঃ—থ—েথ—েথন ওয়াক – খে‘ট্রাম। ইকীরে? ওরকম কচ্ছিস কেন ? রামকানাই। অ্যাঃ—থ –থ—েকেরোসিন তেল খেয়ে ফেলেছি। দলিরাম । কেরোসিন তেল খেয়েছিস ? খে ট্রাম। সিকী ! কেরোসিন খেতে গেলি কেন রে ? রামকানাই। সখ করে কি আর কেউ কেরোসিন খায় ? গায়ে লেখা ছিল—লেমন সিরাপ ! দলিরাম। এখন একটা দেশলাইয়ের কাটি খেয়ে ফেলত-তাহলেই সব ল্যাঠা চুকে যায় । রামকানাই। কি পন্ডিতমশায়, আপনার ন্যায় শাস্ত্রে আর কিছর বলে-টলে নি ? খে ট্রাম। (মশা মারিতে মারিতে) আর দাদা ন্যায়শাস্ত্র-টাস্ত্র ভালো লাগে না—বলি আজকাল মশাটা কেমন বল দেখি ? রামকানাই। বরাবর যেমন থাকে, ছোট-ছোট কালো মতন, উড়ে বেড়ায়— খে"ট্রাম। আহা, বলি লাগে কেমন ? রামকানাই। তা কি করে বলব ? কখনো ভাজাও করি নি, চচ্চড়িও খাই নি। খে"ট্রাম। হ্যাঁ, বলি অত্যেচারটা দেখছ তো? রামকানাই। অত্যেচার আবার কি! চুরিও করে না, ডাকাতিও করে না, পরের বাড়িতে আড়াও মারে না— পণ্ডিত। ওহে দেখ, তোমাদের ও-সব ইয়াকি মারতে হয় বাইরে গিয়ে কর—আমার কাছে সকুমার সমগ্র রচনাবলী
পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-প্রথম খণ্ড.djvu/২৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।