পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-প্রথম খণ্ড.djvu/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দারোগাবাবকে বলে-কয়ে আপনার মেয়াদ কমিয়ে দেব। খে ট্রাম ও দলিয়মের শশব্যস্তে প্রবেশ খে‘ট্রাম। এক ব্যাটা আসছে ! দলিরাম। আমায় দেখে রল উচিয়ে আসছিল। আপনার বাক্সের মধ্যে একটা সোনার চেন ছিল –আমি কিন্তু সেটা চুরি করি নি! খে’টরাম। চুরি হবে কোথেকে—যেখানে যা থাকে আমরা সব যত্ন করে তুলে রাখি। খোটরাম টাকি দেখাইল। পলিসের বেশে রমকানাইয়ের প্রবেশ খে‘ট্রাম। এইরে! এইরে ! দলিরাম। এই যে সিদিন নিতাইবাবর একটা ঘড়ি চুরি হয়েছিল আমি কিন্তু তার কিছুই জানি না! খোটরাম। আর, সেদিন যে চৌরাস্তার মোড়ে একটা লোক বেদম ঠেঙা খেয়েছিল - আমি কিন্তু তার গায়ে হাতও দিই নি। দলিরাম। আমার পটেলির মধ্যে সোনার চেন, নক্সা কাটা রপোর ঘড়ি, দুটো আংটি এ-সব কিচ্ছ নেই। পন্ডিত। হাম পমজোর সময় তোমকো বহুত মিন্টান্ন আউর পলিপিঠে খাওয়ায়গা । কেদার। দারোগাবাব আতা হ্যায় ? পলিস। হাঁ বাবা-- কেদার। হাত কাড়া লেকার ? পলিস। হাঁ বাবাকেদার। বাড়ি সারচ হোগা? পলিস। হাঁ বাব–ে কেদার। সব মাটি কললে-- আচ্ছা, আমি ও বাটাকে একট ফাঁক তালতলায় সরিয়ে নিচ্ছি, আপনি এই সুযোগে সরে পড়ন আর এ-মুখো হবেন না-- বছর দুই বাড়ি ミ○○ পলিস ইদিকে থেকে বেরোবেন না! তোমরা পালিও না কিন্তু। (পলিসের প্রতি) আচ্ছা চল— কেদারকৃষ্ণ ও পলিসের প্রস্থান পন্ডিত। আর থামাথামি নেই—এক্কেবারে সেই বদ্যি পাড়ায় মামার বাড়ি গিয়ে উঠব— ওরে ঘটে, ওরে কেন্টা, দৌড়ে আয়—ও ঘর থেকে আমার বিছানাটা আর শব্দকল্পদ্রমখানা নিয়ে আয় তো। শিগগির বাড়ি চল। [ পণ্ডিতের প্রস্থান দ.লিরাম। আর কেন দাদা : পৈত্রিক প্রাণটি নিয়ে সরে পড়া যাক-না ! খে’টরাম। হ্যাঁ—পলিসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতায় কাজ কি দাদা ? দলিরাম। জমিদার ব্যাটার কাডটা দেখ– আমাদের কি নাস্তানাবন্দটাই কললে--চাকর দিয়ে ঘাড়ে ধাক্কা তার উপরে পলিস ! খে ট্রাম। আমরা বেচাররা যে দুটি করে খাচ্ছিলাম, সে আর তার সহ্য হল না। দলিরাম। ছোটলোক ! ছোটলোক ! ওরে, গল্প আক্কেলগড়মটা উঠিয়ে নে ৷ যথা 司15! খে-টলোম ও দলিবামেব প্রস্থান কেদবকৃষ্ণ ও বামকানাইয়েল প্রবেশ কেদার। দেখলি তো রামা ! একেই বলে বন্ধিযাস বলং তস্য -মানুষ চেনা চাই! ঠিক লক্ষণ দেখে ওষুধ দিতে হয়রামকানাই । আজ্ঞে—ঝড়ে কাগ মরে আর ফকিরব কেরামত বাডে – I উভযের প্রপথ ন সঙ্গে-সঙ্গে জড়ির প্রবেশ ও গান ওরে ও চণ্ডীচরণ ! তোমার কি নাইরে মরণ। কোন সাহসে চাকর ডেকে ভদ্রলোকের কান মলাও ৷ সুকুমার সমগ্র রচনাবলী