বিভীষণের হটিার নমনা প্রদর্শন সমগ্রীব। রেখে দাও তোমার ভড়ং! আমাদের দেশে ওরকম হাড়গিলের মতো করে হাটে ना ! বিভীষণ। তোদের দেশে আবার হাঁটতে জানে নাকি ? আচ্ছা মানুষ তো! সমগ্রীব। মানুষ বললে কেন হে ? খামখা গাল দিচ্ছ কেন ? নেপথ্যে জাববানের কন্ঠস্বর জাম্ববান। ওরে তোরা পালিয়ে আয়, রাবণ আসছে। বিভীষণ ও সমগ্রীব। অ্যাঁ-কি! গান যদি রাবণের ঘুষি লাগে গায়— তবে তুই মরে যাবি—তবে তুই ম-রে যা-বি— ওরে, পালিয়ে যারে পালিয়ে যা তা না হলে মরে যাবি— লগড়ের গতো খেয়ে হঠাৎ একদিন মরে যাবি। বিভীষণ । ওরে আমার মনে পড়েছে—একটা বন্ড জরুরি কাজ বাকি আছে—সেটা চট করে সেরে আসছি। বিভীষণেব প্রস্থ ন সুগ্ৰীব। এইবার বোধ হয় রাবণ আসবে— আজ একটা কিছর হয়ে যাবে-ইসপার নয় উসপার— রাবণের প্রবেশ গান তবে রে রাবণ ব্যাটা তোর মখে মারব ব্যটিা তোরে এখন রাখবে কেটা এবার তোরে বাঁচায় কেটা বল । মখের দপাটি দন্ত ভাঙিয়া করিব অন্ত তোর এখনি হবে প্রাণান্ত আয় রে ব্যাটা যমের বাড়ি চল। সমগ্রীব। (তোর) রাবণ। ওরে পাষণ্ড, তোর ও মণ্ড খণ্ড খণ্ড করিব। যত অপিথ হাড়, হবে চুরমার, এমনি আছাড় মারিব। ব্যাটা গুলিখোর বন্ধি নেই তোর নেহাত তুই চ্যাংড়া। আয় তবে আয় যটির ঘায় করিব তোরে ল্যাংড়া ॥ রেখে দে তোর গলাবাজি ওরে ব্যাটা ছ’চে পাজি অন্তিম সময় আজি ইন্টদেবে কর রে নমস্কার। তুই রে পাষণ্ড ঘোর পাল্লায় পড়িলি মোর উদ্ধার না দেখি তোর মোর হাতে না পাবি নিস্তার ॥ রাবণ । ওরে বেয়াদব কহিলে যে-সব ক্ষমা যোগ্য নহে কখন তার প্রতিশোধ পাবি রে নিবোধ পাঠাব শমন সদন ॥ সুগ্ৰীব । বাবণেব সমগ্রীবকে প্রহার ওরে বাবা ইকী লাঠি গেল বুঝি মাথা ফাটি নিরেট গদ্য ইকী সব নেশে ! কাজ নেই রে খোঁচা খুচি ছেড়ে দে ভাই কে’দে বাঁচি সাধের প্রাণটি হারাব কি শেষে ? সগ্রেীবের পলায়ন সুগ্ৰীব । রাবণ। ছি, ছি, ছি—এত গবৰ্ণ করে, এত আস্ফালন করে, শেষটায় চম্পট দিলি ? শেম ! শেম! লক্ষণের প্রবেশ ও রাবণের গান রাবণ। আমার সহিতে লড়াই করিতে আগ্রহ দেখি যে নিতান্ত— বুঝেছি এবার ওরে দরোচার ডেকেছে তোরে কৃতান্ত । ఫిలిపి
পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-প্রথম খণ্ড.djvu/২৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।