আমি পালোয়ান স্যাডো সমান তুই ব্যাটা তার জানিস কি ? কোথায় লাগে-বা কুরো পাটকিন, কোথায় রোজেদ ভেনিসিক ? এই যে অস্ত্র দেখিছ পল্ট শোভিছে আমার হন্তে ইহারই প্রভাবে যমালয়ে যাবে বানর কুল সমস্তে । অযোধ্যার লোকে যোদ্ধা হয়েছে শনে মরি আমি হাসিয়া (আজি) দেখাব শক্তি রাখিব কীতি’ দলে বলে সবে নাশিয়া ॥ লক্ষণের লাঠি চালনা লক্ষণ। হ্যাঃ হ্যাঃ হ্যাঃ --হর হর হর হর – মার, মার, মার, মার, মার-কাট কাট কাট কাট কাট কাট— লক্ষণ শক্তিশেল,হত লক্ষণ। হা হতোসিম! লক্ষণের পতন ও মছা। রাবণ কর্তৃক লক্ষণের পকেট লঠেন। হনুমানের প্রবেশ হনুমান। অ্যাঁ! কি হচ্ছে—দেখে ফেলেছি! [ রাবণের পলায়ন বানরগণের প্রবেশ ও গান বানরগণ । অবাক কল্পে রাবণ বড়ো— যটির বাড়ি সমগ্রীবে মারি কল্পে যে তার মাথা গড়ো, অবাক করলে রাবণ বড়ো। (আহা) অতি মহাতেজা সগ্রীব রাজা অঙ্গদেরি চাচা খড়ো অবাক কল্পে রাবণ বড়ো। (আরে) গদা ঘরাইয়া দিল উড়াইয়া লক্ষণের ধড়া চুড়ো— অবাক কল্পে রাবণ বড়ো ॥ (ওরে) লক্ষমণে মেরে বানর দলেবে কল্পে ব্যাটা তাড়াহুড়ো অবাক কল্লে রাবণ বড়ো। (ব্যাটা) বধি বিপল যন্ধে নিপুণ ૨8O কিন্তু ব্যাটা বেজায় ভুড়ো, অবাক কল্পে রাবণ বড়ো। লক্ষণকে লইয়া বানরগণের প্রপথনে ইতি সমাতোয়ং লক্ষণের শক্তিশেলাভিধেয়স্য কাব্যস্য দ্বিতীয়ো সগ" ] তৃতীয় দশ্য রামচন্দ্রের শিবির রাম, বিভীষণ ও জাম্ববান রাম। কিছু আগে একটা গোলমাল শোনা যাচ্ছিল—বোধ হয় কোথাও যন্ধে বেধে থাকবে। বিভীষণ । তা হবে! খোড়াইতে-খোঁড়াইতে ব্যান্ডেজবন্ধ সমগ্রীবের সকাতর প্রবেশ বিভীষণ । আরে ও পালোয়ানজি, একি হল —ষাট ষাট ষাট । সকলের উচ্চহাস্য রাম। কি হে সমগ্রীব, তোমার যে দেখছি বহারম্ভে লঘু ক্লিয়া হল। বিভীষণ। আজ্ঞে, বজ্র অটিনি ফসকা গেরো— রাম। যত তেজ বুঝি তোমার মুখেই। জাম্বববান। আজ্ঞে হ্যাঁ, মাখেন মারিতং জগৎ— রাম। আমি বলি কি তুমি মস্ত যোদ্ধা । জাম্বববোন। যোদ্ধা বলে যোদ্ধা—ঢাল নেই তলোয়ার নেই খামচা মারেঙ্গা । বিভীষণ। আমি বরাবরই বলে আসছি— সমগ্রীব। দ্যাখ! তোর ঘ্যানঘ্যানানি আমার ভালো লাগে না— রাম। রাবণের কেন বল এত বাড়াবাড়ি ?— পিপড়ের পাখা উঠে মরিবার তরে। জোনাকি যেমতি হায়, অগ্নিপানে রাষি সম্মবরে খাদ্যোত লীলা— সকুমার সমগ্র রচনাবলী
পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-প্রথম খণ্ড.djvu/২৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।