জাম্ববান। থাক, ওমনি থাক। আগে লক্ষণের একটা কিছল গতিক করে নিই, তারপর দেখা যাবে— ঔষধান্বেষণ—ঔষধ প্রয়োগে লক্ষণের চেতনা লাভ সাফাই ওষুধ রে! হনুমান। হাজার হোক—স্বদেশী ওষুধ তো ! সকলে। তাই বল। স্বদেশী না হলে কি এমন হয় । জাম্ববান। হ্যাঁ, এইবার যমকে ছেড়ে দাও । পাহাড় সরাইয়া হনুমানের যমকে মন্তিদান যম । (চোখ রগড়াইয়া লক্ষণের প্রতি) সেকি! আপনি তবে বেচে আছেন ? লক্ষণ। তা না তো কি ? তুমি জ্যাত মানুষ নিয়ে কারবার আরম্ভ করলে কবে থেকে ? যম। আজ্ঞে, চিত্রগুপ্ত ব্যাটা আমায় ভুল বঝিয়ে দিয়েছিল। আমি এখনি গিয়ে ব্যাটার চাকরি ঘুচোচ্ছি— যমের প্রস্থান লক্ষণ। হনুমান ব্যাটা বুঝি ওকে চাপা দিয়েছিল—ব্যাটার বন্ধি দেখ। হনুমান । তা বৃদ্ধি থাকুক আর নাই থাকুক-ওষধে এনে বাহাদরিটা নিয়েছি びエTI বিভীষণ। আমি পাহারা না দিলে ওষুধ কি হত রে—ওষুধ আনতে-আনতে যমের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যেত। আমারই তো বাহাদারি। সন্ত্রীব। অর্থাৎ কিনা আমার বাহাদরি— আমি বললাম তবে তো বিভীষণ পাহারা দিল—আর বিভীষণ পাহারা দিল বলেই তো যমদতগুলো আটকা পড়ল। জাম্ববান। আরে ব্যাট ওষুধের ব্যবস্থা করল কে? তোদের বন্ধি সে সময় উড়ে গেছিল কোথায় ? রাম। হ্যাঁ, সেটা ঠিক—কিন্তু আমি যপ্তিৰ কথা না জিগগেস করলে তুমি হয়তো এখনো পড়ে নাক ডাকাতে। লক্ষণ। আর আমি যদি শক্তিশেল খেয়ে না পড়তাম তবে তো এ-সব কাণ্ডকারখানা কিছুই হত না—আর তোমরাও বিদ্যা জাহির করতে পারতে না । জাম্ববান। যাক, এখন মেলা রাত হয়ে গেছে, তোমরা সব-সব গহে প্রত্যাবতনপবেক নিদ্রার চেষ্টা দেখ—তোমাদের মাথা ঠান্ডা হবে আর আমিও একট ঘনমিয়ে বচিব। হনুমান। আমায় কিছু বকশিশ দেবে না ? বিভীষণ। হ্যাঁ, ওকে চারটি বাতাসা দিয়ে মধরেণ সমাপয়েৎ করে দাও। প্রথম। আমার কথাটি ফরোলো দ্বিতীয়। নটে গাছটি মড়লো তৃতীয়। ক্যান রে নটে মড়োলি চতুর্থ। বেশ করেছি—তোর তাতে কিরে ব্যাটা। সকলে। ইত্যাদি, ইত্যাদি, ইত্যাদি। ইতি সমান্তেয়ং লক্ষণের শক্তিশেলাভিধেয়স্য কাব্যস্য চতুথো সগঃ ] সমাতোয়ং মহানাটকঃ ]
পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-প্রথম খণ্ড.djvu/২৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।