লড়াই-ক্ষ্যাপা
ওই আমাদের পাগলা জগাই, নিত্যি হেথায় আসে;
আপন মনে গুনগুনিয়ে মুচকি-হাসি হাসে।
চলতে গিয়ে হঠাৎ যেন থমক লেগে থামে,
তড়াক করে লাফ দিয়ে যায় ডাইনে থেকে বামে।
ভীষণ রোখে হাত গুটিয়ে সামলে নিয়ে কোঁচা,
‘এইয়ো’ বলে ক্ষ্যাপার মতো শূন্যে মারে খোঁচা।
চেঁচিয়ে বলে, “ফাঁদ পেতেছ? জগাই কি তায় পড়ে?
সাত জার্মান, জগাই একা, তবুও জগাই লড়ে।”
উৎসাহেতে গরম হয়ে তিড়িংবিড়িং নাচে,
কখনো যায় সামনে তেড়ে, কখনো যায় পাছে।
এলোপাতাড়ি ছাতার বাড়ি ধুপুস্ধাপুস্ কত!
চক্ষু বুজে কায়দা খেলায় চর্কিবাজির মতো।
লাফের চোটে হাঁফিয়ে ওঠে গায়েতে ঘাম ঝরে,
দুড়ুম করে মাটির পরে লম্বা হয়ে পড়ে।
হাত-পা ছুঁড়ে চেঁচায় খালি চোখটি ক’রে ঘোলা,
“জগাই মোলো হঠাৎ খেয়ে কামানের এক গোলা!”
এই না বলে মিনিট খানেক ছট্ফটিয়ে খুব,
মড়ার মত শক্ত হ’য়ে এক্কেবারে চুপ।
তার পরেতে সটান্ ব’সে চুলকে খানিক মাথা,
পকেট থেকে বার করে তার হিসেব লেখার খাতা।
লিখ্ল তাতে-“শোন্ রে জগাই, ভীষণ লড়াই হলো,
পাঁচ ব্যাটাকে খতম করে জগাইদাদা মোলো।”