বলছিলেম কি, বস্তুপিণ্ড সূক্ষ্ম হতে স্থূলেতে,
অর্থাৎ কিনা লাগ্ছে ঠেলা পঞ্চভূতের মূলেতে—
গোড়ায় তবে দেখতে হবে কোত্থেকে আর কি ক’রে,
রস জমে এই প্রপঞ্চময় বিশ্বতরুর শিকড়ে।
অর্থাৎ কিনা, এই মনে কর্ রোদ পড়েছে ঘাসেতে,
এই মনে কর্, চাঁদের আলো পড়লো তারি পাশেতে—
আবার দেখ! এরই মধ্যে হাই তোলবার মানে কি?
আকাশপানে তাকাস্ খালি, যাচ্ছে কথা কানে কি?
কি বল্লি তুই? এ-সব শুধু আবোল তাবোল বকুনি?
বুঝতে হলে মগজ লাগে, ব’লেছিলাম তখুনি।
মগজভরা গোবর তোদের হচ্ছে ঘুঁটে শুকিয়ে,
যায় কি দেওয়া কোন কথা তার ভিতরে ঢুকিয়ে?—
ও শ্যামাদাস! উঠলি কেন? কেবল যে চাস্ পালাতে!
না শুনবি তো মিথ্যে সবাই আসিস্ কেন জ্বালাতে?
তত্ত্বকথা যায় না কানে যত মরি চেঁচিয়ে—
ইচ্ছে করে ডান্পিটেদের কান ম’লে দি পেঁচিয়ে।
শব্দকল্পদ্রুম
ঠাস্ ঠাস্ দ্রুম দ্রাম্, শুনে লাগে খটকা—
ফুল ফোটে? তাই বল! আমি ভাবি পট্কা!
শাঁই শাঁই পন্পন্, ভয়ে কান্ বন্ধ—
ওই বুঝি ছুটে যায় সে-ফুলের গন্ধ?
হুড়মুড় ধুপ্ধাপ্— ওকি শুনি ভাই রে!
দেখ্ছ না হিম পড়ে— যেও নাকো বাইরে।
চুপ চুপ ঐ শোন্! ঝুপ্ ঝাপ্ ঝ—পাস!
চাঁদ বুঝি ডুবে গেল?— গব্ গব্ গ—বাস!
খ্যাঁশ্ খ্যাঁশ্ ঘ্যাঁচ্ ঘ্যাঁচ্, রাত কাটে ওই রে!
দুড় দাড়্ চুরমার— ঘুম ভাঙে কই রে!
ঘর্ঘর্ ভন্ ভন্ ঘোরে কত চিন্তা!
কত মন নাচে শোন্— ধেই ধেই ধিন্তা!
ঠুং ঠাং ঢং ঢং, কত ব্যথা বাজে রে—
ফট্ ফট্ বুক ফাটে তাই মাঝে মাঝে রে!
হৈ হৈ মার্ মার্ ‘বাপ্ বাপ্’ চিৎকার—
মালকোঁচা মারে বুঝি? সরে পড়্ এইবার।