ভূতুড়ে খেলা
পরশু রাতে পষ্ট চোখে দেখনু বিনা চশমাতে,
পান্তভূতের জ্যান্ত ছানা করছে খেলা জোছ্নাতে।
কচ্ছে খেলা মায়ের কোলে হাত-পা নেড়ে উল্লাসে,
আহ্লাদেতে ধুপধুপিয়ে কচ্ছে কেমন হল্লা সে।
শুন্তে পেলাম ভূতের মায়ের মুচ্কি হাসি কট্কটে—
দেখছে নেড়ে ঝুন্টি ধ'রে বাচ্চা কেমন চট্পটে।
উঠছে তাদের হাসির হানা কাষ্ঠ সুরে ডাক ছেড়ে,
খ্যাঁশ খ্যাঁশানি শব্দে যেন করাৎ দিয়ে কাঠ চেরে!
যেমন খুশি মার্ছে ঘুঁষি দিচ্ছে কষে কানমলা,
আদর ক’রে আছাড় মেরে শূন্যে ঝোলে চ্যাং দোলা।
বলছে আবার, “আয় রে আমার নোংরামুখো সুঁটকো রে,
দেখ না ফিরে প্যাখ্না ধরে হুতোম-হাসি মুখ করে!
ওরে আমার বাঁদর নাচন আদর-গেলা কোঁৎকা রে,
অন্ধবনের গন্ধ-গোকুল, ওরে আমার হোঁৎকা রে!
ওরে আমার বাদলা রোদে জষ্ঠি মাসের বিষ্টি রে,
ওরে আমার হামান-ছেঁচা যষ্টিমধুর মিষ্টি রে।
ওরে আমার রান্না হাঁড়ির কান্না হাসির ফোড়নদার,
ওরে আমার জোছনা হাওয়ার স্বপ্নঘোড়ার চড়নদার।
ওরে আমার গোবরাগণেশ ময়দাঠাসা নাদুস্ রে,
ছিঁচকাঁদুনে ফোক্লা মানিক ফের যদি তুই কাঁদিস রে—”
এই না ব’লে যেই মেরেছে কাদার চাপটি ফট্ করে,
কোথায়-বা কি, ভূতের ফাঁকি—মিলিয়ে গেল চট্ ক’রে!