পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবা পরেশবাবুর সঙ্গে নরেশ নানাগল্প জুড়িয়া দিল। প্রথমে মায়ার স্বামী নিমাইয়ের কথা উল্লেখ করিয়া কহিল, নিমাই তাহাকে কত ভালবাসিত। একদিন তাহার সহিত দেখা না হইলে সে কত অস্থির হইয়া পড়িত। সেই বলিষ্ঠ গৌরবর্ণ সুন্দর মানুষটার ভিতরটীও তেমনই উদার ছিল। তারপর অন্য গল্প ফাদিল। নরেশ এমনই ভঙ্গী করিয়া এমন সুকৌশলে বর্ণনার পর বর্ণনা করিয়া যাইতে লাগিল যে, পরেশবাবু তন্ময় হইয়া তাহার সেই সমস্ত কথা গিলিতে লাগিলেন ও এক একবার কন্যার অবনত গম্ভীর মুখের দিকে চাহিতে লাগিলেন। শেষে একথা সে কথার পর হঠাৎ নরেশ পরেশবাবুকে কহিল, “দেখুন দেখি, নিমাই আমার অমন বন্ধু ছিল, আর সেই মায়া কিনা আমাকে দেখে এখন লজ্জা করে মুখ নীচু করে রয়েচে।” মায়া ভাবিল, মন্দ নয়; ইতিপূৰ্বে সে যেন নরেশের সঙ্গে বরাবরই গল্প করিয়া আসিয়াছে! মৃদুকণ্ঠে সে পিতাকে কছিল, “বাবা, আমি তবে এখন যাই, রাধতে অনেক বেলা হ’য়ে যাবে।” নরেশ তাড়াতাড়ি কহিল, “মায়া, তুমি রাধবে কি রকম ? আজাকি তোমাদের ঠাকুর আসেনি ?” মায় তাহার কথার কোন উত্তর দিল না, কক্ষ ত্যাগ করিয়া চলিয়া গেল। পরেশ বাবু কহিলেন, “আমার মা’টি কিছুতেই ঠাকুর রাখতে দেবে না। দুবেলা সবায়ের রান্না সে একলাই রাধে।” যেন কত পরিচিতের মত নরেশ ব্যস্ত হইয়া কহিল, “আপনি So