পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবা হইয়া পড়িত। কিন্তু কি করিয়া সে যাইবে। তাহার পিতা ও শ্বশুরের বিবাদ উত্তরোত্তর বৰ্দ্ধিত হইয়া এমন জায়গায় আসিয়া দাড়াইয়াছে যে, এখন শ্বশুরবাড়ী যাইতে হইলে তাহাকে পলাইয়া যাইতে হয়, সেও অসম্ভব। আবার ভাবিত, তাহার শ্বশুরের আর দুইটী পুত্ৰ সন্তান আছে কিন্তু তাহার পিতার সাত্মনার বস্তু আর কেহ নাই ; সেই একা। দুইটী বিভিন্নপথগামী নদী প্রবাহের মাঝখানে পড়িয়া মানুষের অবস্থা যেরূপ হয়, মায়ার অন্তরের অবস্থা তদ্রুপই হইয়াছিল। পিতৃগৃহ হইতে যে সহজে বাহির হইতে পরিবে, এমন ভরসা তাহার রহিল না। এদিকে পিতার কথায় প্রতিদিনই যখন সে নিজে হাতে করিয়া বাহিরে চা দিতে আসিত, পরেশবাবু তখন তাহাকে কিছুতেই যাইতে দিতেন না ; সেখানে তাহার সহিত নানা গল্প জুড়িয়া দিতেন। এমনই করিয়া প্রতিদিন নরেশের সম্মুখে আসিতে আসিতে মায়ার সঙ্কোচটা অনেক কমিয়া আসিল। তীক্ষ্ণদৃষ্টি নরেশ তাহা সেদিন পরেশবাবুর ঘরের মেঝের উপর মায়া বসিয়াছিল। পরেশবাবু চেয়ারে বসিয়া কি লিখিতেছিলেন। মায়ার অযত্নবদ্ধিত এলোমেলো কেশদাম সমস্ত পিঠ আচ্ছন্ন করিয়াছিল। ভোরের So