পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাড়াইয়া রহিল। তারপর গাড়ীখানি দৃষ্টির শহির হইয়া গেলে, সে এক পা এক পা করিয়া বাটীর মধ্যে প্রবেশ করিল, এবং সেই জনহীন নিস্তব্ধ কক্ষের মেঝের উপর পড়িয়া কঁাদিয়া উঠিল, ‘জ্যোছনা জ্যোছনা ।” দেখিতে দেখিতে তিন দিন কাটিয়া গেল। সুকুমার প্রতিদিন সকালে বিকালে একবার করিয়া জ্যোৎস্নাকে দেখিতে যাইত, কিন্তু কথা কহিবার অবকাশ পাইত না । সুকুমার দেখিত, জ্যোৎস্না মুখখানি কালি করিয়া দুইটা জলভরা চোখ তাহার দিকে ন্যস্ত করিয়া উন্মুক্ত জানালার পাশে দাড়াইয়া আছে। এ তিন দিন সুকুমারের বাটীর চাবি দিক দেড়িয়া কেবল মৰ্ম্মভেদি ক্ৰন্দনের রোল উত্থিত হইয়াছে ; আর সেই ঈদয়বিদারকধ্বনি, ‘রামনাম সত্য হায়’, ‘বল হরি, হরি বোল’, চাৰিদিকের আকাশ বাতাস কঁপাইয়া তুলিয়াছে। ‘ভাব রাত্রে নির্জন কক্ষমধ্যে সুকুমার এক একবার সেই ডাকে চমকিয়া উঠিত। বসিয়া বসিয়া শুনিত, সস্তানহারা জননী “বাপ বাপ” বুলিয়া বুক চাপড়াইতেছেপতিহারা স্ত্ৰী আৰ্ত্তনাদ করিয়া উঠিতেছে। শুনিতে শুনিতে দেহ তাহার কণ্টকিত হইয়া উঠিত। ক্ৰমে ক্ৰমে সে রবও কমিয়া আসিল । কে আর্ব কাহার জন্য কাদিবে। সকলেই যে সেই অজানা দেশের দিকে পা বাড়াইয়াছে ! N9o