পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুত্রবধু we তাহাকে ত্যাগ করিয়াছে, স্বামীও তাহার কোন সংবাদ লন না ! এক শ্বশুর যে তাহার একমাত্র আশ্রয় ! এই কথাগুলি বার বার তাহার মনে উদয় হইয় তাহার ব্যথিত পীড়িত অন্তরকে আরও গুরুভারাক্রান্ত করিয়া তুলিতে লাগিল। ( ) সুষমার অক্লান্ত পরিশ্রম, ভগবানের উপর একান্ত আত্মনির্ভর র্তাহার নিকট আন্তরিক কাতর প্রার্থনা, বৃদ্ধ হরনাথকে এ যাত্রা মরণের হাত হইতে ফিরাইয়া আনিল। একচল্লিশ দিন পর বৃদ্ধের জর ছাড়িল, আরও সপ্তাহ কাটিয়া গেলে তিনি পথ্য পাইলেন। ক্ৰমে ক্ৰমে বৃদ্ধ বীরুকে লইয়া আবার বাহিরের রোয়াকে গিয়া বসিয়া পাড়ার লোকের সহিত নানা গল্পে প্ৰবৃত্ত হইয়াছেন। র্তাহার পুত্রবধূর প্রশংসা তখন পাড়াময় ছড়াইয়া গিয়াছে, যাহার সহিত বৃদ্ধের দেখা হইতেছে, সেই বৃদ্ধকে বলিতেছে, “মশায় এমন বউ কারু হয় না। এ যাত্রা তারই যত্নে বেঁচে গেছেন, ব্যামোটি কি আপনার কম হ’য়েছিল।” শুনিয়া বৃদ্ধের চক্ষু জলে ভরিয়া আসিত । সকাল বেলা তামাক টানিতে টানিতে হঠাৎ হরনাথের মনে পড়িয়া গেল, এত বড় ব্যারামের খরচপত্র ত কম নহে,- ডাক্তার ঔষধ পথ্য। এ সব খুব্রচ কোথা হইতে চলিল, তাহার পর এখনকার এই রকম আহার-সুষম কি করিয়া চলাইতেছে । সে কি বাপের বাড়ী হইতে টাকা চাহিয়া আনিয়া এই সব খরচ পত্ৰ (C