পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুকুমার Arrar, rur s re “আচ্ছা বলচি,” বলিয়া সে চলিয়া গেল। খানিক পরে শ্বাশুড়ীকে সঙ্গে করিয়া ফিরিয়া আসিল । তাহার শ্বাশুড়ী গম্ভীর হইয়া কহিলেন, “দেখি মা, কি গয়না ?” সুষমা হাত বাড়াইয় তাহার সেই সোণাৰ্বাধীন “নোয়া” গাছটি দেখাইয়া দিল। গৃহিণী বলিলেন, “ও যে “নোয়া” স্বামীর আয়র জন্যে যে হাতে রাখতে হয়, ও কি ক’রে বেচ বে।” সুষম চিন্তিত হইয়া কহিল, “মা ওর বদলে এমনি নোয় পল্লে হ’বে না, আমার যে পাঁচটি টাকা এখনি চাই ।” তিনি বলিলেন, “তা বাছা হ’বেই না, এ কথাই বা কেমন করে বলি, নোয় পর্যা হ’চ্ছে নিয়ম, সোণা দিয়ে বঁধিয়ে পরা ও কেবল বাবয়ান বই ত নয়।” তঁহাদেরই বিকে দিয়া তখনই নোয়া কিনিয়া আনাইয়া কপালে ছোয়াইয়া, সুষম মনে মনে কহিল, “হে মা কালি, র্তাকে চিরজীবি কর, আমার দোষ নিও না।” এবং সেই “নোয়া’গাছটি পরিয়া সোণা-বাধান নোয়াগাছটি আস্তে আস্তে খুলিয়া আর একবার কপালে ঠেকাইয়া গৃহিণীর হাতে দিল। গৃহিণী নাড়িয়া চড়িয়া দেখিলেন, অন্ততঃ দেড় ভরি সোণ আছে, খাটি গিনি সোণসোণার দরে বেচিতে গেলে ইহার দাম ত্ৰিশ টাকার কম হইবে না। গৃহিণী বলিলেন, “তা মা রাত্তিরে কোথায় এর দাম যাচাই করতে যাব। আর যাচাই বা কি করব। এতে ত একটুখানি সোণা VIR