পাতা:সুকুমার - ফণীন্দ্রনাথ পাল.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুকুমার করিয়া বসিল। ট্রামখানির সম্মুখে পিছনে কোন প্রকারে দুই খানি পা রাখিবার জন্য ঠেলা ঠেলি হুড়াহুড়ি পড়িয়া গেল। সহসা কোন দুর্গ শত্রুকর্তৃক আক্রান্ত হইলে, দুৰ্গরক্ষকেরা যেরূপ ব্যস্ততা প্ৰকাশ করিয়া থাকে, এই লোকগুলি বোধ করি, তদপেক্ষা কম ব্যস্ততা প্ৰকাশ করিতেছিল না । কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় সুরেশের কানের চারিদিকে কেবলই ঘোড়দৌড়ের কথা ঘুরিয়া ফিরিয়া বেড়াইতে লাগিল। কেহ বলিল, অমুক ঘোড়া জিতিধে, অপর একজন অমনই বলিদা উঠিল, ও ঘোড়াটা কিছুতেই জিতিতে পারে না, আমি টমাস সাহেবের আস্তাবলের খবর পাইয়াছি, দশ নম্বরের ঘোড়াটা আজ নিশ্চয়ই বাজি মারিাবে, খুব দর পাওয়া যাইবে খো, দশের কম ত কিছুতেই নয়। দুই এক ব্যক্তি আবার আপনাআপনিই একবার এ ঘোড়া একবার সে ঘোড়ার নাম করিতে লাগিল। এমনই উৎকণ্ঠিত যাত্ৰিবৰ্গ লইয়া ট্রাম তাহদের সেই বাঞ্ছিত মহাতীর্থে নামাইয়া দিল। মহাকলরব করিতে করিতে সম্ভাবিত জয়াশায় উল্লসিত সৈন্যদেরই মত তাহারা ক্রীড়া ক্ষেত্রে গিয়া সমবেত হইতে লাগিল । সেদিনও সুরেশ তেইশ টাকা জিতিল । উৎকণ্ঠ-উপশমিত হৃদয়ে প্রফুল্ল মুখে সে বাটার অভিমুখে ফিরিল। পথে যাইতে যাইতে সে মনে মনে ভাবিতে লাগিল,-লোকে বুলে বটে, ঘোড়দৌড় খেলিয়া অনেকের ভিটামাট উচ্ছন্ন গিয়াছে। কিন্তু এই দুই দিনেই আনি বেশ বুঝিলাম, লোকের ধারণা অমূলক ; বুঝিয়া Qy