পাতা:সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা.pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

শ্রেষ্ঠ কবিতা
১১৭

হারিয়ে দিয়ে বজরঙেরে দাঁড়ায় বটুকরাম,
মেহন্নতে শরীর দিয়ে পড়ছে ঝ’রে ঘাম।
খাট-পালঙের রাজা দেখে’ তারিফ ক’রে ক’ন,
“তোমার আসল পরিচয়টা দাও তো বাছাধন!”
বটুক বলে, “চাটাই-পুরের রাজার ধোপা মুই,
ভারী ভারী শতরঞ্জি নিত্যি আমি ধুই,—
শতরঞ্জির মতন ভারী বজরং তো নয়,
তাই তো তারে তুলতে কাঁধে কষ্ট নাহি হয়;
যেমন ক’রে আছড়ে’ কাচি—শুনুন মহারাজ—
তেমনি ক’রে বজরঙেরে আছাড় মারি আজ।”
বটুকরামের কথা শুনে, রাখতে কথা তাঁর
রাজা তারে হাজার মোহর দিলেন পুরস্কার।
চাটাই-পুরের মান বাঁচালো রজক বটুকরাম,
সেই থেকে তার দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে গেল নাম॥

অসম্ভব কাজ

কর্তাবাবু বেজায় রেগে বলেন ডেকে চাকরে
—“যখন তখন অমন কেন তাকিয়ে থাকিস্ হাঁ ক’রে?
বিদ্‌ঘুটে তোর মূর্তিখানা দেখতে নারি দু’চোখে,
বাড়াবাড়ি করবি তবে তাড়িয়ে দেব ছুঁচোকে।
ব্যাটা যেন রাজ-পুত্তুর, বাদশাহী চাল বড় যে,—
ইচ্ছা মতন কাজ করবি কেবল নিজের গরজে?
শুয়ে ব’সে মাইনে খাবি, হতচ্ছাড়া, বেয়াড়া,
যেম্‌নি স্বভাব, তেম্‌নি ব্যাটার ভুতের মত চেহারা।
গরুর গোয়াল নোংরা থাকে, হাত দিস না ঝাড়ুতে;
সাত-সকালে উঠে কেন জল দিস্ না গাড়ুতে?